|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন ১... |
|
তিন তাস |
আগামী প্রজন্মের সাহসী তুবড়ি। কালীপুজোর রাতে মাতবেন তাসে। গয়নায়। সাজাবেন আলো |
|
|
|
পার্নো মিত্র |
নুসরত জাহান |
তনুশ্রী |
|
|
পার্নো মিত্র |
‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’র সাফল্য রাতারাতি পার্নোকে ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ নজরে ফেলে দিয়েছে। অভিনয়টা ভাল করেন। মৈনাক ভৌমিকের ‘বেডরুম’-এও শোনা যাচ্ছে দারুণ কাজ করেছেন। ‘একলা আকাশ’-এ কাজ করছেন গৌতম ঘোষের বিপরীতে একটা জটিল চরিত্রে। অন্য ধরনের চরিত্রে, ভাল অভিনয়ের জন্য পার্নোর ওপর ভরসা বাড়ছে টালিগঞ্জের।
আগের কালীপুজো
বছর কয়েক আগে আমার বাড়িতে আমি একটা প্রি-কালীপুজো পার্টি দিয়েছিলাম। সব বন্ধুরা এসেছিল। চূড়ান্ত হইচই করেছিলাম। ফাটাফাটি খাবার আর ওয়াইন। ভবিষ্যতেও এই রকম কিছু করার প্ল্যান আছে।
কালীপুজো ২০১১
আলাদা কোনও প্ল্যান নেই। আমার এক বন্ধুর বাড়ি কালীপুজো হয়। সব বন্ধুরা ওখানে জমা হব আর তার পর সারা রাত গুলতানি। ওখানে অবশ্য বাড়াবাড়ি করা যায় না, মানে নেশা-টেশা ওখানে চলে না।
খাওয়া-দাওয়া
বন্ধুর বাড়ির ট্র্যাডিশনাল পরিবেশে কালীপুজোর নিরমিষ খাবার। লুচি, আলুর দম, মিষ্টি। পরিবেশটা খুব ভাল লাগে, তাই ওখানে দুষ্টুমি করি না আমরা।
বিশেষ প্ল্যান
গোল্ড কয়েন কিনব। ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ভাবছি আজকাল। গয়নায় ইনভেস্ট করি না আমি। কেন না গয়নার সঙ্গে একটা ইমোশনাল ভ্যালু জুড়ে থাকে। পরে বিক্রি করার দরকার পড়লেও করা যায় না। তার থেকে গোল্ড কয়েন বাস্তবসম্মত।
এক্স ফ্যাক্টর
পার্টি দেওয়ার কথা বলছিলাম না? ভাবছি এমন একটা পার্টি দেব, যাতে আমার সব ছেলে-বন্ধুরা আমার মনোরঞ্জন করতে নাচবে, গাইবে আর আমরা মেয়েরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করব। আগেকার দিনে রাজা-বাদশারা মেহফিল বসাতেন যেমন। সেখানে মেয়েরা নাচত আর এখানে আমার ছেলে-বন্ধুরা। |
|
নুসরত জাহান |
প্রথম ছবিই জিতের বিপরীতে। অশোক ধানুকার প্রযোজনায়। রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায়। বড় ব্যানার। বড় নায়ক। ছবিও হিট। সঙ্গে নুসরতের চোখে পড়ার মতো সুন্দর চেহারা। টালিগঞ্জ স্বভাবতই তাঁকে নিয়ে আগামী দিনের স্বপ্ন দেখছে। শোনা যাচ্ছে, রাজ চক্রবর্তীর আগামী ছবির নায়িকাও নুসরতই।
আগের কালীপুজো
কাটাতাম বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হইহই করে কাজুর বরফি আর বোঁদের লাড্ডু খেয়ে। আমাদের টার্গেট থাকত কোনও মাড়োয়াড়ি বা গুজরাতি বন্ধুর বাড়ি, যেখানে হামলা করলে এই সব খাবার পাওয়া যেতে পারে।
কালীপুজো ২০১১ ‘শত্রু’র পর জীবনটা পাল্টে গেছে। এ বার তাই কালীপুজো কাটবে কলকাতায় পাঁচখানা পুজোর ফিতে কেটে। তাই বলে আড্ডা, বাজি পোড়ানো বা খাওয়া-দাওয়া ছাঁটাই করব সে বান্দাই আমি নই।
খাওয়া-দাওয়া
মায়ের তৈরি লুচি-আলুরদম-মাংস তো আছেই। মা ভুলে গেলেও আমি আর আমার বোন জবরদস্তি করে মা’কে দিয়ে বানিয়ে নিই। আর বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে হইচই, নাইট-আউট, পার্টি আর সেই সঙ্গে দেদার খাওয়া।
বিশেষ প্ল্যান
ছোটবেলায় আমাদের পাশের হিন্দু বাড়িতে কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানো দেখতাম। এত ভাল লেগে গেল ব্যাপারটা যে, সেই থেকে প্রত্যেক কালীপুজোতে নিয়ম করে মোমবাতি আর জলে-ভাসা প্রদীপ জ্বালাই। এ বারও জ্বালাব। বন্ধুরা মিলে বাজি ফাটানো তো মাস্ট।
এক্স ফ্যাক্টর
গাড়ি কিনছি এই কালীপুজোয়। শেভ্রলে বিট। মরক্কো-নীল রংয়ের। গাড়ির ভেতরে পার্টি করার ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে হাল্কা মিউজিকও। আমি যে কী খুশি! |
|
তনুশ্রী |
ক্ল্যাসিক সৌন্দর্য আর অভিনয় ক্ষমতার দুরন্ত ককটেল। এখনও অবধি রিলিজ করেছে ‘উড়োচিঠি’ আর ‘বন্ধু এসো তুমি’। দ্বিতীয় ছবিটা চলেনি। তবে ‘উড়োচিঠি’তে বহু নাম-করা অভিনেতা-অভিনেত্রীর ভিড়েও বিশেষ করে চোখে পড়েছেন তিনি। হাতে বেশ কয়েকটা ছবি। সেখানে শুধু গ্ল্যামারে ভর না দিয়ে অভিনয়টাও করছেন চুটিয়ে।
আগের কালীপুজো
আমার কাছে এটা চিরকালই ইনভেস্টমেন্টের উৎসব।
গত বছর কিনেছিলাম সোনার কয়েন। নেকপিস। কয়েকটা আংটি। মা আর বোনকেও গয়না দিই এই সময়টা। শুধু এই সিজনে নয়, সোনার গয়না কিনি সারা বছরই। কিন্তু এই সময়ে কী কেনা যায়, সেই প্ল্যানটা অনেক আগে থেকেই করতে থাকি।
কালীপুজো ২০১১
একটা বড় দোকানে একটা ঢাউস ঝুমকো বুক করে এসেছি। ধনতেরসের দিন নিয়ে আসব। গয়না পরার থেকে গয়নার মালকিন হতেই আমার বেশি ভাল লাগে।
খাওয়া-দাওয়া
উৎসবের সময় ভাল খাওয়া-দাওয়া তো হবেই। প্রচুর সাজি, প্রচুর আড্ডা মারি আর প্রচুর খাই এই সময়টায় কোনও দিকে না তাকিয়ে।
বিশেষ প্ল্যান
সকালে হয়তো আমার স্কুলের বন্ধুরা আসবে। আর বিকেলে সহকর্মীরা। মাঝখানে কয়েকটা পুজো উদ্বোধন করে ফেলব ঝটপট। মাসির বাড়িতে কালীপুজো হয়। ইচ্ছে আছে সেখানেও যাওয়ার।
এক্স ফ্যাক্টর
বাজি ফাটাতে চিরকালই খুব ভালবাসি। ছোটবেলায় তুবড়ি জ্বালাতে গিয়ে পাশের বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে ফেলেছিলাম। তাঁরা বাবা-মা’র কাছে এসে এমন নালিশ করেছিলেন যে, ওঁরা খুব দুঃখ পেয়েছিলেন আর আমি প্রবল মার খেয়েছিলাম। এ বার ঠিক করেছি বোম ফাটাব। দেখি কত অভিযোগ করে! আমারও এখন নাম-টাম হয়েছে তো, নাকি? |
|
ছবি: সোমনাথ রায়।
মেক-আপ: নবীন দাস।
স্টাইলিং: স্যান্ডি |
|
|
|
|
|