চার রাজ্যে উপনির্বাচনে জয়ের পর এ বার লোকসভা ভোটের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করল উজ্জীবিত বিজেপি। আগামিকাল জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে মনমোহন সরকারের আর্থিক নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্মভঙ্গের প্রতিবাদে এনডিএ-সহ অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও একজোট করতে চাইছে দল। পাশাপাশি, আজ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে দলীয় কর্মীদের অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য বর্জন করার পরামর্শও দিলেন সভাপতি নিতিন গডকড়ী। লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথ যখন নাগপুরে পৌঁছয়, তখনই চার রাজ্যে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। নাগপুরের মঞ্চেই আডবাণী থেকে গডকড়ী সকলেই বলেন, দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।
কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের আক্রোশ ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হচ্ছে। তার মধ্যে আজই তামিলনাড়ুর এক পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ তড়িঘড়ি সেরে ফেলতে। পাশাপাশি, অরুণ জেটলির মতো নেতারা এনডিএকে একজোট রাখার দায়িত্বও সারছেন। আরও দল যাতে এনডিএর ছাতার তলায় আসে, তারও চেষ্টা করছেন তিনি।
আগামিকাল জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকের আগেই বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন জেটলি। সপ্তাহ কয়েক আগে জাতীয় সংহতি পরিষদের বৈঠকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না এলেও আগামিকালের বৈঠকে তিনি আসতে পারেন। জেটলি আজ জানান, “যদিও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে এই বৈঠক হবে, কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রীরা মনমোহন সিংহ সরকারের আর্থিক নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ধর্ম না মানার বিরুদ্ধে সরব হবে।”
একদিকে এনডিএ-কে একজোট রাখা ও তার বিস্তারের কাজ যখন দল শুরু করে দিয়েছে, তখন বিজেপি সভাপতি গডকড়ী দলের কর্মীদেরও সংযত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। জনসঙ্ঘের ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে গডকড়ী আজ দলের নেতা ও কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দলের কর্মীদের অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য যেন তৈরি না হয়। বিজেপিকে বলা হয়, ‘পার্টি উইথ ডিফারেন্স’। সেই ফারাকটিও যেন প্রকাশ্যে বোঝা যায়। |