বকেয়া অর্থের পুরোটা মিটিয়ে জমির অধিকার নিল ইনফোসিস।
শুক্রবার সকালে নিউটাউনে তাদের জন্য চিহ্নিত ৫০ একর জমি পরিদর্শন করেন দেশের অন্যতম বৃহত্তম তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং হিডকোর অফিসারেরা। জমি এবং জমিকে ঘিরে পরিকাঠামো দেখে সন্তুষ্ট হন তাঁরা। দুপুরেই এই নিয়ে তিন পক্ষের কথাবার্তার পর জমির দাম বাবদ বকেয়া ৭৫% অর্থ মিটিয়ে দেন ইনফোসিসের কর্তারা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের হাতে জমির অধিকার সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। হিডকোর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন বলেন, “ইনফোসিস-কে জমি হস্তান্তর করা হল। পরে ৯৯ বছরের লিজ-দলিল দেওয়া হবে।”
বাম আমলে গত বছরের ২৩ নভেম্বর হিডকোকে জমি দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। এ জন্য নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি-তে ৫০ একর জমি চিহ্নিত করে হিডকো। তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার জন্য কম দামে জমি দেবে বলে ঠিক করে আগের সরকার। সেই মতো জমির দাম ঠিক হয় একর প্রতি দেড় কোটি টাকা (মোট ৭৫ কোটি টাকা)। চুক্তি মতো প্রথম কিস্তির ২৫% অর্থ এক মাসের মধ্যেই মিটিয়ে দেয় ইনফোসিস। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জমিকে ঘিরে রাস্তা-জল-নিকাশি-বিদ্যুতের মতো পরিকাঠামো ছ’মাসের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের কারণে সেই প্রতিশ্রুতি রাখা যায়নি।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইনফোসিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করে ইনফোসিস-কে জমি সরেজমিনে দেখে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ দিন জমি পরিদর্শনে এসে সন্তুষ্ট হয়ে বকেয়া ৭৫% অর্থ মিটিয়ে দেন ওই তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার কর্তারা। হিডকো সূত্রে খবর, কালীপুজোর পরে জমির মাপ দেখতে ফের নিউটাউন যাবেন ইনফোসিসের প্রতিনিধিরা। কবে নির্মাণ কাজ শুরু হবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বার শিল্পমহলের মুখোমুখি হওয়ার সময় থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করা হয়েছে উপদেষ্টা কমিটি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রাণপুরুষ এন আর নারায়ণমূর্তি। |