দু-সপ্তাহ বাদে ফের লাল সঙ্কেত সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করল মালদহের ফুলহার নদী। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই নদীর জলস্তর লাল সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। রতুয়ার কাহালা এলাকায় ফুলহার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করায় ইতিমধ্যেই ৫টি গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। ফের জলবন্দি হয়ে পড়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ১০টি এলাকার বাসিন্দারা। মালদহের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। পুজোর মুখে ফের নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। সেচ দফতরের মালদহ নর্থ সেন্ট্রাল সার্কেলের সুপারিনন্টেডেন্ট বাস্তুকার সন্দীপ দে বলেন, “একমাত্র ফুলহার নদীর জলস্তরই অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। সিকিম সহ উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পর জল নামতে শুরু করাই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণ। পরিস্থিতির উপর লক্ষ রাখছি।” সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, এদিন ফুলহার নদীর স্তর ৯৫ সেন্টিমিটার বাড়ে। সোমবার নদীর জলস্তর ৭০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ফুলহারের জলস্ফীতির কারণে গত মাসেই রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরে নদীর জল উপচে ও রতুয়ায় কাহালা এলাকায় গত বছর ভেঙে পড়া বাঁধের অংশ দিয়ে জল ঢুকে বন্যা হয়। ফুলহারের জলস্তর নামায় মাত্র দু-সপ্তাহ আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রশাসন ও সেচ দফতরে স্বস্তি ফেরে। ২৫ মিটার উচ্চতার নীচে নেমে যাওয়া জল সোমবার থেকে বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার বিকালে নদীর জলস্তর ফের ২৭.৫০ মিটারে পৌঁছে যায়। যা লাল সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপরে। রতুয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকে কাহালা পঞ্চায়েতের হরগোবিন্দপুর, কালুটোলা, মনিপুর, নিমতলা, সাহাপুর এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের দিয়ারা, ভাকুরিয়া, মিহাহাট, মীরপুর, রশিদপুর সহ ১০টি গ্রামের মাঠ ঘাট পথ সব ডুবে গিয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যার আগেই ওই এলাকার সমস্ত ফসল ডুবে গিয়েছি। জল কমার পর বহু চাষি কলাই চাষ করেছিলেন। কলাই খেত তলিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত । প্রথমে বন্যা তারপর ভূমিকম্পের আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই যেভাবে ফুলহার ফের ফুঁসতে শুরু করেছে তাতে এলাকায় আতঙ্ক ও হাহাকার দেখা দিয়েছে। |