|
|
|
|
অভিযুক্তের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উচ্চ আদালত রায় দিলেও তাঁকে পদে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও দফতর বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় দেড় কোটি টাকা হিসেবে গরমিলের অভিযোগে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিল মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপাচার্য। তা নিয়ে মামলা আদালতে বিচারাধীন। দিলীপবাবু জানান, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে জানানো হয় তিনি নেই। উপাচার্যের সহায়ককেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে দিলীপবাবু কাজে যোগ দিতে আবেদন করেন। বুধবারই এ ব্যাপারে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরে তিনি জানাবেন। উপাচার্যের মোবাইলে বহুবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বেজে গিয়েছে। তাঁর দফতর থেকে জানানো হয় তিনি বাইরে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের প্রায় দেড় কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের মামলায় রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়। দিলীপবাবুর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হলে তা সঠিক প্রক্রিয়ায় যে হয়নি আদালত তা জানিয়েছে। গত শনিবার উপাচার্য দিলীপবাবুকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফোরামে যাবেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বা কর্মসমিতির সভায় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির দুই সদস্য নিখিল গুহ এবং মলয় করঞ্জাই-ও সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তোলেন কর্মসমিতিতে সিদ্ধান্ত না-করেই উপাচার্য একক ভাবে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতে আদালত অবমাননা করা হলে তার দায় তাঁরা নেবেন না। বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন দিলীপবাবু। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিচারক তপেন সেনের রায় দিলীপবাবুর পক্ষেই যায়। গত শুক্রবার কাজে যোগ দিতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের দফতরে লিখিত আবেদন করেন। দিনভর অপেক্ষা করে উত্তর না পেয়ে ফিরে আসেন। শনিবার উপাচার্য তাঁর বাড়িতে চিঠি পাঠান। ওই চিঠি পেয়ে সোমবার ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন দিলীপবাবু। এ দিন দিলীপবাবু আদালতের রায় সম্বলিত আইনজীবীর চিঠি নিয়ে বলেন, “আদালত আমাকে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও দফতর বন্ধ ছিল। অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয়েছে। আচার্য এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরে তা জানাচ্ছি।” |
|
|
 |
|
|