বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রচারে সিপিএম, তৃণমূল দু’দলই নেমে পড়েছে জোরকদমে। একদিকে তৃণমূলের সভা চলছে তো অন্যদিকে সিপিএমের।
মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী এটিএম আবদুল্লা (রনি) র প্রচারে আসেন রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়, কংগ্রেসের সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। সিপিএম প্রার্থী সুবিদ আলি গাজীর সমর্থনে এ দিন এখানে প্রচারে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ক্যানিং পূর্ব-এর বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। বসিরহাটের মোড়লি বাজারে সিপিএমের জনসভায় রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘ঘাসফুল ও হাতফুল মিলে সরকার চালাচ্ছে। |
ভোটপ্রচারে দেবশ্রী রায় ও আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ছবি: নির্মল বসু। |
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা চুরি করছে আর জেলে যাচ্ছে। মমতা যদি সৎ হন তা হলে তিনি এইসব চোরেদের সাথে আছেন কেন। সততার প্রতীক বলে নেত্রীর ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। প্রত্যেক বিষয়ে তৃণমূলের কিছু এটুলি লোকেদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনও কাজই করে না।” তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “১০০ দিনের মধ্যে এই দল যে কিছুই করতে পারছে না তা মানুষ এখন বুঝতেই পারছে। আমাদের কিছু লোক বদমায়েশি করেছিল। মানুষ তার শাস্তি দিয়েছে। ভবানীপুরে দিদি জিতবে কারণ ওটা ওনারই এলাকা। এখানে আমরা আগেও জিতেছি এবারও জেতাতেই হবে। তবেই দিদির কাঁটা নীচে নামবে আর আমাদের কাঁটা উপরে উঠবে। গত ৩৪ বছরে বামফ্রন্ট অনেক কাজ করেছে। ওদের চোখ নেই বলে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।’ অন্যদিকে তৃণমূলের প্রচারে এসে বিধায়ক দেবশ্রী রায় বলেন, “বদলা নয়, বদল চাই। সন্ত্রাস নয়, শান্তি চাই। সোনার বাংলা গড়তে মমতার হাত শক্ত করতে হবে। গত ৩৪ বছরে বামফ্রন্ট কিছুই করেনি। একটু সময় দিন বর্তমান সরকার সুন্দরভাবে দেশের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়াবে। মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তা অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে অনেক ভাল। চলচ্চিত্র জগতে আমাকে আপনারা যে ভাবে ভালবাসেন ঠিক সেইভাবে এটিএম আবদুল্লা(রনি)কে ভালবেসে জোড়াফুলে ছাপ দিয়ে তৃণমূলের হাত শক্ত করুন।” |