গোষ্ঠী সংঘর্ষ, ধৃত তৃণমূলের দুই
অধ্যক্ষের বাড়িতে হামলাতেও অভিযুক্ত শাসকদল
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। পটাশপুরে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই তৃণমূল সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভগবানপুরের বাজকুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সিপিএমের বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা নিয়ে পটাশপুরের দক্ষিণ রাউতারা গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে লুঠপাট করে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়েছিলেন দলেরই জনা দশেক কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দলীয় ভাবে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এক গোষ্ঠী ওই ঘটনায় দলেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। মঙ্গলবার তার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায় ,ধৃত যুগল মণ্ডলের বাড়ি দক্ষিণ রাউতারা গ্রামেই এবং সুবল গিরির বাড়ি সাহাপুর গ্রামে।
অন্য দিকে, বাজকুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্যনারায়ণ সাউয়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সত্যনারায়ণবাবু মঙ্গলবার কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ব্লক সভাপতি হরিপদ জানা এবং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুন রশিদের সঙ্গে বর্তমান বিধায়ক ও দলের সাধারণ সম্পাদক (জেলা) অর্ধেন্দু মাইতির মধ্যে বিরোধ অনেকদিনের। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তা প্রকাশ্যে আসে।
অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর সত্যনারায়ণবাবুর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান হারুণ রশিদের অনুগামীরা। অভিযোগ, বাজকুল কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এরপর গত শনিবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে কর্মী নিয়োগ, মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তি, অডিট এবং অবৈধ ভাবে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দেন হারুন রশিদ। কলেজে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এ দিকে, ওই দিন কলেজে যাননি সত্যনারায়ণবাবু। তিনি বলেন, “স্ত্রী বেশ অসুস্থ। তাঁকে নিয়ে ওই দিন তমলুকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় কলেজে যেতে পারিনি। বিষয়টি ওই তৃণমূল নেতাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা তা মানতে চাননি।” এ দিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন কলেজে জড়ো হয়েছিলেন অর্ধেন্দুবাবুর অনুগামীরাও। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আসে পুলিশ।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, “শনি ও রবিবার বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। এমনকি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা না দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এ ভাবে কতদিন চলবে জানি না।” হারুন রশিদ অবশ্য বিক্ষোভের দায় স্বীকার করেননি। তাঁর কথায়, “আমাদের কেউ ওই কাজে জড়িত নই। ওরা নিজেরাই লোক দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।” তৃণমূলের বাজকুল কলেজ শাখা সম্পাদক রবীন মণ্ডল বলেন, “দলেরই একটা অংশ অন্যায় কাজ করে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বারবার ওই একই কাজ করছে। এর বিরুদ্ধে কলেজে প্রতিবাদ সভা হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.