প্রয়াগ মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে শুরু করেছিল অনেক সুবিধাজনক জায়গায় থেকে। কলকাতার নতুন দল পৈলান অ্যারোজের মতো জোসিমার-ইয়াকুবুর প্রয়াগও জিতেছিল প্রথম ম্যাচ। যা তিন প্রধানেরও কেউ পারেনি। তবু শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ হয়তো সন্ধ্যার যুবভারতীতেই ফেলে এলেন লালকমলরা। প্রয়াগ টুর্নামেন্টে টিকে থাকলেও চিরাগ ইউনাইটেড কেরল ছিটকে গেল। কালুর গোলে স্পোর্টিং ক্লাব দে গোয়া ১-০ হারাল তাদের।
এয়ার ইন্ডিয়ায় কোনও তারকা নেই। ম্যাচের শুরু থেকে তুলুঙ্গা-ডেনসনদের খেলাটাও ছিল একপেশে। প্রথমার্ধে গোটা দুয়েক কর্নার আর একটি ফ্রি-কিক ছাড়া কিছুই আদায় করতে পারেনি বিমানকর্মীরা। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ তখন প্রয়াগের লালকমলের পায়ে। কখনও ডান দিকে তুলুঙ্গা, কখনও বাঁ-দিকে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকে দিয়ে খেলাচ্ছিলেন তিনি।
প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেন দেরি করেননি ফর্মের সন্ধানে থাকা ভিনসেন্টকে তুলতে। পরের পর গোল মিসের ছবি আর কতক্ষণ দেখতে ভাল লাগে? বিশেষ করে যখন রিজার্ভ বেঞ্চে ইয়াকুবুর মতো স্ট্রাইকার বসে। তিরিশ মিনিটে মাঠে নামলেন ইয়াকুবু। বিরক্ত ভিনসেন্ট রিজার্ভ বেঞ্চে না বসে সোজা ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। পরে বললেন, “এত তাড়াতাড়ি আমাকে তুলে নিলে নিজের ফর্মটা দেখাব কী করে?” সরাসরি কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর এহেন আচরণের জন্য সঞ্জয় সেন অবশ্য ভিনসেন্টের শাস্তির কথা ভাবছেন। কয়েকটি সুযোগ পেলেও সে ভাবে চোখ টানতে পারেননি ইয়াকুবু। মোটামুটি ভাবে ৯০ মিনিট আগের ম্যাচের প্রয়াগকেই দেখা গেল। গোল করার সুযোগগুলিকে গোলে পরিণত করতে না পারার ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে এয়ার ইন্ডিয়ার কয়েকটি আক্রমণের পরেই কিছুটা গুটিয়ে গেল প্রয়াগ। এই সময়ে দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করে প্রয়াগকে পুরো তিন পয়েন্ট খোয়ানোর হাত থেকে বাঁচালেন গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডল। সঞ্জয় কাশ্যপের এয়ার ইন্ডিয়ার ফেড কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও প্রয়াগের এখনও সুযোগ থাকল সেমিফাইনালে ওঠার। স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ তাই মরণ-বাঁচন সঞ্জয় সেনের দলের।
প্রয়াগ ইউনাইটেড: অভিজিৎ, দীপক, অর্ণব, বেলো, সুখেন, তুলুঙ্গা (সুভাষ), লালকমল, ডেনসন, গৌরাঙ্গ (রফিক), জোসিমার, ভিনসেন্ট (ইয়াকুবু)। |