ফেডারেশন কাপে মোহনবাগানের ব্যর্থতায় একটাই সিদ্ধান্তে পৌঁছচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তারকারা। ফারাক কমছে ছোট দল আর বড় দলের। দ্রুত উঠে আসছে রয়্যাল ওয়াহিংডো, শিলং লাজং-রা।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়ার কথায়, “এর থেকে বোঝা যাচ্ছে দ্বিতীয় ডিভিসন আই লিগের দলগুলো কতটা তৈরি। ওয়াহিংডো মোহনবাগান, চার্চিলকে হারিয়ে সেমিফাইনাল যাওয়ার পথে। এতে নতুন ফুটবলারও উঠে আসবে। উপকৃত হবে ভারতীয় ফুটবল।” ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৬ সেপ্টেম্বর। তার মনোনয়ন প্রকাশের সাংবাদিক সম্মেলনেই মঙ্গলবার বিকালে যুবভারতীতে এসেছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ভাইচুং। সিকিম থেকে ফিরে সরাসরি হাজির যুবভারতীতে। মেহতাব হোসেন, টোলগে ওজবে-র পাশে বসে বলছিলেন, “ইউনাইটেড সিকিমকে সঙ্গে নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।”
এই অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন সেরা উঠতি ফুটবলারের মনোনয়ন পাওয়া পুণে এফ সি-র জেজে লালপেখলুয়াভক্তদের কাছে ‘নতুন ভাইচুং’। লাজুক প্রকৃতির ছেলে জেজে শুধু বললেন, “নতুন নতুন দল উঠে আসলে ভারতীয় ফুটবলেরই ভাল হবে।” জেজে ছাড়াও এই বিভাগে মনোনয়ন আছে ইস্টবেঙ্গলের রাজু গায়কোয়াড় এবং চার্চিলের লেনি রডরিগেসের। জেজের পাশে বসা অ্যালভিটো ডি’কুনহা সতর্ক করে দিলেন বড় ক্লাবগুলিকে। “এত ভাল ফুটবলার নিয়ে সেমিফাইনালে না যেতে পারাটা দুঃখজনক। তবে এই ম্যাচগুলি থেকেই বড় দলগুলোর শিক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও ক্লাবকে ছোট করে দেখতে গেলেই ভুগতে হবে।” তিনি অবশ্য মেনে নিচ্ছেন, আদতে ভারতের ফুটবলের ভালই হচ্ছে ছোট ক্লাবগুলো উঠে আসায়।
ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালের দিনেই পুরস্কার বিতরণী সভা। অথচ মনোনয়ন রয়েছে ইস্টবেঙ্গল-ডেম্পোর বেশ কিছু ফুটবলারের। আয়োজকদের তরফে বক্তব্য, “সেমিফাইনাল থাকলেও আমরা আশা করছি অনেক ফুটবলারই অনুষ্ঠানে আসতে পারবে।” গত বছরের সেরা ফুটবলারের জন্য নাম রয়েছে মহেশ গাউলি, মেহতাব এবং ক্লাইম্যাক্স লরেন্স-এর। সেরা কোচ হওয়ার জন্য আর্মান্দো কোলাসোর লড়াই দুই বিদেশি ট্রেভর মর্গ্যান এবং করিম বেঞ্চারিফার সঙ্গে। ফ্যানেদের জন্য ইন্টারনেটে বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে পছন্দের ফুটবলার। সেখানে মেহতাবের প্রতিদ্বন্দী টোলগে, লুসিয়ানো সোব্রোসা, র্যান্টি মার্টিন্স এবং ইউসুফ ইয়াকুবু। |