এক দিনের ক্রিকেটকে রক্ষা করতে আইসিসি চিফ এগজিকিউটিভকে প্রোজেক্ট রিপোর্ট পাঠালেন সচিন তেন্ডুলকর। দাদা অজিত তেন্ডুলকর এবং তিনি এই রিপোর্টে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করেছেন, কী ভাবে জাগিয়ে তোলা যেতে পারে এক দিনের ক্রিকেটের আকর্ষণ।
এতে তেন্ডুলকর ভাইয়েরা আইসিসি-কে পরামর্শ দিয়েছেন, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটকে ভেঙে দু’ইনিংসে ভাগ করে দিতে। বলেছেন, পঁচিশ ওভার-পঁচিশ ওভার করে দু’ইনিংসের ম্যাচ হোক। তা হলে টস যে ভাবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে, সেটা আর হবে না।
শুধু দুই ইনিংসে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ ভাগ করে দেওয়াই নয়। হারুন লর্গ্যাটকে পাঠানো এই রিপোর্টে সচিনরা আরও অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। এ ভাবে সরাসরি আইসিসি-কে চিঠি লিখে কখনও তাঁর বক্তব্য জানাননি সচিন। কোনও দিন কোনও কমিটিতেও তাঁকে থাকতে দেখা যায়নি। যার জন্য ক্রিকেটমহলে সচিনের এই রিপোর্ট নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে সচিন লিখেছেন, ‘আমি চিন্তাভাবনা করছিলাম কী ভাবে ক্রিকেটের তিনটে ফর্ম্যাটই ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আর সেটা নিয়ে ভাবতে বসেই এ সব পরামর্শ মাথায় আসছে।’
ওয়ান ডে ম্যাচকে দু’ইনিংসে ভাগ করা নিয়ে সচিন যুক্তি দেখিয়েছেন, দু’ইনিংসের ম্যাচ হলে এখন যেমন অনেক ক্রিকেট কেন্দ্রে টস জিতলেই ম্যাচ অর্ধেক জিতে যাওয়া যায় সেটা আর হবে না। দু’টো দলের মধ্যেই একটা ভারসাম্য থাকবে। তখন ক্রিকেটীয় যোগ্যতারও সঠিক বিচার হবে। মুদ্রাই সব কিছু ঠিক করে দেবে না। নতুন প্রথায় পাওয়ার-প্লে কেমন হবে সেটা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন সচিন। প্রত্যেকটা পঁচিশ ওভার ইনিংসে দু’টো করে পাওয়ার-প্লে রাখার কথা বলেছেন তিনি। তবে এখন যে প্রত্যেক বোলার দশ ওভারের বেশি বল করতে পারে না সেটাকে বদলাতে চান তিনি। সচিনের পরামর্শ, চার জন বোলারকে বারো ওভার করে বল করতে দেওয়া হোক।
নিজের ক্রিকেটজীবনে ‘টস জেতো ম্যাচ জেতো’ মন্ত্রের সাক্ষী বহু বার থেকেছেন সচিন। কখনও দেশের মাঠে সেই মন্ত্রের ফসল তুলেছেন, কখনও বলি হয়েছেন। হালফিলের কয়েকটি ম্যাচের কথা রিপোর্টে উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন সচিন। এ বারের বিশ্বকাপ ম্যাচে যেমন নাটকীয় ভাবে ইংল্যান্ড হেরে যায় আয়ার্ল্যান্ডের কাছে। প্রসঙ্গত, ওয়ান ডে-কে দু’ইনিংসে ভাগ করে দেওয়ার প্রস্তাব আগেও উঠেছে। সুনীল গাওস্কর অতীতে একই কথা বলেছেন। সচিনের রিপোর্ট সেই ভাবনাকে আরও গতি পাইয়ে দিল কি না সেটাই এখন দেখার।
|