রাহুল গাঁধী কাল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত সিকিমে যাবেন। যুব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইদানীং দেশের যে কোনও প্রান্তে বড় কোনও অঘটন হলেই রাহুলকে সেখানে ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, গাঁধী পরিবারের তরুণ প্রজন্মের এই তৎপরতার নেপথ্যে তাঁর বৃহত্তর রাজনীতি রয়েছে। এত দিন মূলত যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর কর্মসূচি নিয়ে চললেও এ বার সেই গণ্ডি ছেড়ে সর্বভারতীয় স্তরে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছেন তিনি। |
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, সিকিমে ভূমিকম্পের পর কেন্দ্র যে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ ও ত্রাণ শুরু করে দিয়েছে, তা অতীতে কখনও হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের পরেই প্রধানমন্ত্রী সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেই ক্যাবিনেট সচিব অজিতকুমার শেঠকে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। ক্ষতিপূরণ ঘোষণার ক্ষেত্রেও বিলম্ব করা হয়নি। কাল গ্যাংটকের পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখে কেন্দ্রের তরফে আরও সাহায্য ও ত্রাণের অঙ্গীকার করতে পারেন রাহুল। কিংবা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে সুপারিশ করতে পারেন।
রাহুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছে। রাহুলের এই পদক্ষেপ উত্তর-পূর্বে কংগ্রেস সম্পর্কে মানুষের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর দিকেই এখন বিশেষ নজর রয়েছে রাহুলের। সে কারণে কাল সকালে গ্যাংটক সফরের পর মেঘালয়ে যাবেন তিনি। পশ্চিম গারো পাহাড়ের আমপাথিতে যুব কংগ্রেসের হয়ে একটি জনসভাও করবেন রাহুল। |