|
|
|
|
দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের হুমকি ট্রেড ইউনিয়নের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে ফের দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের হুমকি দিল বামেরা। তবে এ বার তাদের সঙ্গী একই সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপি-র শ্রমিক সংগঠন। মোট ১১টি ট্রেড ইউনিয়নের তরফে নভেম্বর মাসে দেশ জুড়ে আইন অমান্যের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার পরেই তাঁরা সাধারণ ধর্মঘটের পথে যাবেন বলে
মঙ্গলবার কলকাতায় জানান এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত।
আইএনটিইউসি আগেই বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে এক ছাতার তলায় আন্দোলন করছিল। এ বার বিজেপি-র সংগঠন বিএমএস, ডিএমকে-র সংগঠন পিএলইউ এবং গুজরাতের মহিলাদের একটি ইউনিয়ন ‘সেবা’ ট্রেড ইউনিয়নের ওই যৌথ মঞ্চে সামিল হয়েছে। গুরুদাসবাবু এ দিন বলেন, “দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। উৎসবের মরসুমে মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে, কলকারখানায় লক আউট-ছাঁটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা। সংসদে এই বিষয়ে যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল, তা-ও কেন্দ্র মানেনি।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “এক দিনের ধর্মঘটে কাজ না-হলে ক্ষেত্র ধরে ধরে লাগাতার ধর্মঘট হবে! ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ঠিক করেছে, ব্যাঙ্কিং সংস্কার বিল সংসদে পেশ হলেই তারা ধর্মঘটে যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বন্ধ-অবরোধ বন্ধ করতে চাইছেন, তখন তাঁরা আবার ধর্মঘটের অস্ত্রেই ফিরছেন কেন? গুরুদাসবাবুর জবাব, “মমতা নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, ইতিহাস দেখেননি! ধর্মঘট কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। মমতারও থাকবে না!” সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য গুরুদাসবাবু জানান, অগস্ট মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৯.৭৮% ছুঁয়েছে। ‘ক্যাপিটাল গুড্স’ (কারখানার যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত)-এর উৎপাদন ১৫.২% কমে গিয়েছে। কেন্দ্রই এই তথ্য স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছে। ফলে শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে বামেদের মত।
প্রসঙ্গত, আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এ দিনই ঠিকা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রদীপবাবু বলেন, “বর্তমানে চটকল, চা বাগান, জাহাজ নির্মাণ, ওয়াগন কারখানা, বিদ্যুৎ, বস্ত্র, রাসায়নিক শিল্পে স্থায়ী কর্মীর চেয়ে ঠিকা শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থা ঠিকা শ্রমিকদের বোনাস থেকে বঞ্চিত করছে।” এই ব্যাপারে রাজ্য শ্রম দফতরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানান প্রদীপবাবু। শ্রম দফতরের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগও তুলেছেন প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “শ্রমিকদের দাবি পূরণে শ্রম দফতরের যতটা সচল হওয়ার দরকার, তা হচ্ছে না।” |
|
|
 |
|
|