পড়া সেরে ফেরার পথে ভর দুপুরে হাই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল এক যুবক। পরে সেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে শেখ কারিবুল নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পাড়ুই থানার দেবগ্রাম বাসস্টপের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছাত্রীর নাম রুম্পা খাতুন (২০)। রুম্পা ও কারিবুলের বাড়ি দেবগ্রামেই।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কারিবুলের বিয়ে হয়েছিল। সদ্য তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। কারিবুল অস্ত্র নিয়ে তার উপরে হামলা চালায়। গুরুতর আহত ছাত্রীকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।” রাতে বর্ধমান মেডিক্যালেই রুম্পার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার গলায় ও পেটে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। সেই আঘাতের জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় হাইমাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা জিয়াউল হক ও কাকা পিয়ারুল হকের অভিযোগ, “এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ মেয়ে পড়া সেরে বাড়ি ফিরছিল। দেবগ্রাম বাসস্টপ এলাকায় বাস থেকে নামার পরেই কারিবুল আতর্কিতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মেয়ের উপরে চড়াও হয়। প্রথমে গলার বাঁ দিকে ও পরে পেটে অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়।” প্রকাশ্যে এ ভাবে রুম্পাকে কোপানোর পরে কিছু ক্ষণের জন্য হতচকিত হয়ে পড়েন আশপাশের লোকজন। এর পরেই তাঁরা কারিবুলকে ধরে ফেলে মারধর করেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এর পরে উত্তেজিত জনতা দেবগ্রাম ক্যানাল পাড়ে কারিবুলের জুতোর দোকানে ও গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। বাড়ির লোক পালিয়ে যান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগেই কারিবুলের সঙ্গে রুম্পার বিয়ে হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সম্ভবত সেই আক্রোশ থেকেই কারিবুল এ দিন হামলা চালায় বলে পুলিশের সন্দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিয়েতে রুম্পার বাপের বাড়ির আপত্তি ছিল। |