রাত জেগে লাইন দিয়েও সমবায় সমিতি থেকে সার পেলেন না অনেকে। মঙ্গলবার দুপুরে তাই বোলপুরের বাঁধগড়া সমবায় সমিতি ও পরে ব্লক কৃষি আধিকারিকের দফতরে চাষিরা বিক্ষোভ দেখান। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সারের অভাবে জায়গায়-জায়গায় চাষিদের ক্ষোভ ছড়াতে থাকায় এ বার ভোটার কার্ড দেখে সার বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন।
বাঁধগড়া সমবায় সমিতি থেকে মঙ্গলবার সার বিলি করা হবে শুনে আগের দিন রাত থেকেই সেখানে চাষিরা ভিড় জমান। রাত যত গড়িয়েছে, লাইন তত লম্বা হয়েছে। বোলপুরের বাহিরির নিখিলকুমার দাস, সর্পলেহড়ার গণেশ পাল ও ইলামবাজার থানার দ্বারন্দার বাসিন্দা মুক্তিপদ পাল সার নিতে এসেছিলেন। তাঁদের ক্ষোভ, “রাত ৮-৯টা থেকে সার নেওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিলাম। সারা রাত জেগে কাটিয়েছি। কিন্তু, সকালে সমবায় সমিতি থেকে সার বিলি শুরু হওয়ার পরে খবর পাওয়া যায়, সবাই সার পাবেন না। তাই ক্ষোভ ছড়ায়।” |
জানা যায়, সার নিতে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দু’হাজার চাষি। কিন্তু, সমবায় সমিতিতে সাকুল্যে ৯০০ বস্তা সার এসেছিল। লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে এমনিতেই নিজেদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি চলছিল। তার উপর পর্যাপ্ত সার না আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। আগে থাকতেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ বিক্ষোভ সামাল দিতেই কয়েকশো চাষি সেখান থেকে বোলপুর ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকের দফতরে গিয়ে সারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, সমিতি সার পাচার করে দিয়েছে। ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, “বাঁধগড়া সমবায় সমিতিকে ৯০০ বস্তা সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার ১১টি সমবায় সমিতি থেকে সার বিলি করা হবে।” কৃষি দফতর জানিয়েছে, এ সপ্তাহে আরও সার আসছে। চাষিদের মধ্যে তা বিলি করা হবে। জমিতে প্রয়োজনের বেশি সার না ছড়ানোর জন্য তাঁরা চাষিদের পরামর্শ দিয়েছেন।
বীরভূমের কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা (প্রশাসন) অশোক রায় বলেন, “সার বিলি নিয়ে নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাচ্ছি। তাই চাষিদের ভোটার কার্ড দেখে সার বিলি করার জন্যসমবায় সমিতিগুলিকে বলা হয়েছে।” কৃষি দফতরের মতে, এর ফলে এক জায়গার চাষিরা অন্য জায়গায় সার নেওয়ার জন্য ভিড় করতে পারবেন না। সুষ্ঠু ভাবে সার বিলি করা যাবে। |