মনের মতো পোশাক তো হল। পুজো প্যান্ডেলে নজর কাড়তে চাই মানানসই গয়নাও।
কিন্তু পরক্ষণেই কপালে ভাঁজ।
সোনার যা দাম! হাতই লাগানো যায় না।
তবে পুজোর চার দিনের জন্য বিকল্প তো আছে।
সাধ্যের মধ্যে রয়েছে কুন্দনের অলঙ্কার। সঙ্গে পাথরের বিট দেওয়া পাশ্চাত্য ডিজাইনের গয়নাও।
শুধু একটু জেনে নিতে হবে। ঠিক জায়গায় গিয়ে পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে হবে। এ বার আসানসোল শিল্পাঞ্চলে রাজস্থানী পাথর বসানো বাহারি অলঙ্কারের চাহিদা তুঙ্গে। দামও সাধ্যের মধ্যে। তিনশো টাকা থেকে শুরু। পাথরের গুণমানের উপরে দাম হেরফের করে। |
আসানসোলের বিশিষ্ট অলঙ্কার বিশেষজ্ঞ দীপ্তিমান চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজস্থানী পাথরের অলঙ্কারে কুন্দন ও পলকি গয়নার ভাল চাহিদা রয়েছে। যাঁরা আধুনিক ও ঝলমলে গয়না পড়তে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য কুন্দন বেশ ভাল। রাজস্থানের খুব উজ্জ্বল পাথরকে পালিশ করে এই গয়না বানানো হয়। তামার আংটা দিয়ে পাথরের উপরে পাথরের বুনট দিয়ে এই গয়না তৈরি হয়। কুন্দনের দুল, হাতপাশা, কোমর বন্ধ, পায়ের তোড়া, বাজুবন্ধ সবই মিলবে। তবে কুন্দন গয়নার দামিনি এ বার মাত করে দিয়েছে। ঝলমলে শাড়ি আর লম্বা বিনুনিতে দামিনী লাগিয়ে মণ্ডপে গেলে চোখ ফেরাবে কার সাধ্যি!
যাঁরা তাঁতের শাড়ির বা ঢাকাই, জামদানি অথবা বালুচরী পরবেন তাঁদের জন্য পলকি গয়না মানানসই। বিভিন্ন ধরনের ধাতু দিয়ে এই গয়না তৈরি হয়। খুব একটা চকচকে নয়। প্রতিটি গয়নাতেই অ্যান্টিক ছোঁয়া আছে। অল্পবয়সী বা কিশোরীদের আধুনিক গয়নাও এ বার বাজার মাত করেছে।
তার ও পাথরের দানা দিয়ে পাশ্চাত্য ডিজাইনের গয়নার এ বার দেদার সম্ভার। সাধারণত জিনস, কেপ্রি ও শর্ট টপের সঙ্গে এই গয়না দারুণ মানাবে। লেগিন্স বা সালোয়ারের সঙ্গে চলবে। এ বার সুতো ও কাঠের বিট দেওয়া গয়নারও খুব চাহিদা রয়েছে। মোটা পুথি ও পাথরের আদিবাসী ডিজাইনের গয়নাও এখন বাজারে মিলছে। টেরাকোটার গয়না যদিও এ বার নতুন কিছু নয়। তবুও টেরাকোটার নানা ডিজাইনের গয়না নবমীর সকালে পছন্দের তালিকায় রাখতেই পারেন অল্পবয়সীরা, জানালেন এই ধরনের গয়না প্রস্তুতকারী একটি সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রানী ঘোষ।
আর যাঁরা ছিমছাম সাজপোশাক বেশি পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে ক্রিস্টাল পাথর বা আমেরিকান ডায়মন্ডের গয়না। এক বিক্রেতা জানালেন, আমেরিকান ডায়মন্ডের কাটিং যদি ভাল ভাবে করা যায় তবে আসল ডায়মন্ডের গয়নাও হার মানবে। এই পাথরের পেনডেন্ট ও নেকলেসের এ বার খুব চাহিদা। আর এ সবের পাশাপাশি মুক্ত বা সোনার গয়নার চাহিদা তো আছেই। যাঁদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, তাঁরা সোনার দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন। |