|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
ভীরু টিকটিকি |
আমার পড়ার ঘরের ঘুলঘুলিতে একটি হৃষ্টপুষ্ট টিকটিকির বাসা। রোজ দেখি সন্ধ্যার পর টিউবের আলোর কাছে এসে ছোট ছোট পোকামাকড় ধরে মনের আনন্দে খায়। সে-দিনও সন্ধ্যায় পড়তে বসেছি। দেখি, যথারীতি টিকিটিকিটা হাজির। টুকটুক করে পোকা ধরছে আর খাচ্ছে। এমন সময় কোত্থেকে এক বোলতা আলো দেখে হাজির। ভোঁ ভোঁ করে আলোর চার পাশে উড়তে লাগল। টিকটিকিটাও তাকে ধরার জন্য এ দিক ও দিক লম্ফঝম্প শুরু করল। কিছুক্ষণ ও ভাবে ওড়ার পর বোলতাটি দেওয়ালের এক জায়গায় বসল। টিকটিকিটাও তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে এল। কিন্তু লক্ষ করলাম, টিকটিকিটা বোলতার কাছাকাছি গিয়েই কেমন যেন থমকে গেল এবং একদৃষ্টে শিকারের দিকে তাকিয়ে রইল। আর বোলতাটাও টিকটিকির দিকে তাকিয়ে রইল। কিছুক্ষণ ও ভাবে থাকার পর টিকটিকিটা অন্য দিকে গিয়ে পোকামাকড় খেতে লাগল। কিন্তু বোলতাটিকে ধরল না। তখন ভাবলাম, টিকটিকিটা বুঝি বোলতার সাহসের কাছে হার মানল।
নবনীতা ওঝা। চতুর্থ শ্রেণি, পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল |
|
|
হনুমানের মাতৃত্ব |
মামাদের বেশ বড় আমবাগান আছে। বাগানে ঘুরতে ঘুরতে গাছের উপর দুম দুম শব্দ শুনলাম। দেখি, বেশ কয়েকটা হনুমান এ গাছ থেকে ওই গাছে লাফিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় গাছের এক উঁচু ডাল থেকে লাফ দিতে গিয়ে একটি ছোট্ট হনুমান মাটিতে পড়ে যায়। আর উঠতে পারে না। মা হনুমানটা গাছের নীচের দিকের ডালে বসে চিৎকার করতে থাকে। মামা ও গ্রামের কয়েক জন মিলে শব্দ করে মা হনুমানটাকে তাড়িয়ে বাচ্চাটাকে তুলে এনে দালানের উপর শুইয়ে ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে হনুমানের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। জানলা দিয়ে দেখি, মা হনুমানটা চিৎকার করে নিজের বাচ্চাকে ডাকছে। আর বাচ্চাটা দালানের এক কোণে শুয়ে মায়ের ডাকে সাড়া দিচ্ছে।
রোমিত ভট্টাচার্য। পঞ্চম শ্রেণি, হেয়ার স্কুল |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|