|
পুজোর রং-মঞ্চ’রা |
আচ্ছা, এ পুজোয় শরীরের কিছু অংশ খানিক খোলামেলা রাখলে হয় না?
না, না বাজে কিছু ভাববেন না। বলছিলাম, লোকেও দেখুক আপনার বডি আর্ট-এর জলসা! রাই বসু
|
পুজো মানেই চার দিক রঙিন। সেই রঙের ছোঁয়া লাগুক আপনার শরীরেও। অন্য ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলার জন্য রয়েছে নানা রকমের বডি আর্ট। |
মেহেন্দি |
রমরমিয়ে চলছে জয়পুর আর গুজরাতি কাজের, আরবি নকশার মেহেন্দি। ময়ূরের পেখমের নকশাও আঁকতে পারেন হাত ভরে। ওপরে পেখমের রঙের ঘন সবুজ, নীল গ্লিটার। ছড়িয়ে থাকবে বেশ কিছু স্টোন। লেগিংস পরলে পায়েও মেহেন্দি আঁকতে পারেন। মেহেন্দি করে বাড়ি ফিরে হাতে লবঙ্গের তেল অথবা যে কোনও পেন-কিলার বাঁ হাতে মেখে গ্যাসের আগুনে সেঁকে নেবেন। রং গাঢ় হবে। কতটা অংশে মেহেন্দি পরছেন তার ওপর দাম নির্ভর করবে। কবজি অবধি পরলে দাম শুরু ১০০ টাকা থাকে। চুড়ি অবধি ২০০ টাকা। মেহেন্দির কাজের ওপরও দাম নির্ভর করবে। মেহেন্দির স্টিকারও পাবেন।
|
ট্যাটু |
খোলামেলা পোশাক পরলে নির্দিষ্ট কোনও জায়গাকে ট্যাটু এঁকে হাইলাইট করতে পারেন। ছেলেরা পছন্দ করছে ড্র্যাগন, খুলি, কাঁকড়াবিছের মতো মারকুটে ছবি। মেয়েদের পছন্দ পরি বা লাভ সাইন। যে কোনও পার্লারে, অথবা যাঁরা মেহেন্দি করেন, তাঁরাই কালো আউটলাইন এঁকে ভেতরে মেহেন্দি দিয়ে ট্যাটু এঁকে দেন। জল না লাগালে এই ধরনের ট্যাটু তিন-চার দিন থাকে। সাইজের ওপর দাম নির্ভর করে। খরচ মোটামুটি ভাবে ১৫০ টাকার মতো। স্টিকার বসিয়েও ট্যাটু করা যেতে পারে। তবে স্থায়ী ভাবে ট্যাটু আঁকাতে চাইলে যেতে হবে কোনও ভাল সেন্টারে। দেখে নিতে হবে ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা। ট্যাটুর কালিটাও ভাল হওয়া চাই। কারণ এই কালি শরীরে ঢুকছে। মেশিনের সাহায্যে খুব দ্রুত ত্বকের ওপরের স্তরে ট্যাটু আঁকা হয়। প্রথমে শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় ট্যাটুর ছাপ তুলে নেওয়া হয়। তার ওপর সূক্ষ্ম সূচের ডগা দিয়ে ‘কালার ফিলিং’ করা হয়। ভুল আউটলাইন হয়ে গেলে কিন্তু মুশকিল। কারণ স্থায়ী ট্যাটু এক বার আঁকা হয়ে গেলে একে মুছে ফেলা সহজ নয়। স্থায়ী ট্যাটুর খরচ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ২০০০ টাকা। |
নেল আর্ট |
নখের সাজের জন্য পাওয়া যাচ্ছে সিন্থেটিক ও রাবার-এর রকমারি স্টিকারও। ‘নেল বুটিক’-এর কর্ণধার অনসূয়া সেনগুপ্ত জানালেন, পুজোর জন্য আসছে একশোটি নতুন নেল-আর্টের নকশা।
পুরনো নেলপলিশ তুলে, শেপ করে তার পর নেল-আর্ট করা হয়। এটা নেলপলিশ দিয়েই করা যায়, তবে অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহার করলে, তা বেশি দিন স্থায়ী হয়। এর জন্য দরকার হয় স্পেশাল ব্রাশ। খরচ শুরু ২৫০ টাকা থেকে। নেলপলিশ দিয়ে বিভিন্ন স্ট্রোক-এ নেল-আর্ট করলে খরচ শুরু ১৫০ টাকা থেকে। ওপরে ছোট্ট স্টোনও বসানো যেতে পারে। স্টোন ছাড়া রকমারি স্টিকার বসিয়ে নিলেও নখের সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা আসে। খরচ শুরু ১০০ টাকা থেকে। নকশা করা হয়ে গেলে ওপরে বিশেষ টপ কোট লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে নেল-আর্ট বেশি দিন টেকে। |
|
রয়েছে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিয়োর। এই নকশায় নখের সামনের অংশটি সাদা রং করা হয়। বাকি অংশে একটা চকচকে ভাব আনা হয়। শুধু সাদা না করে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও রং করতে পারেন।
চাইলে বিশেষ ধরনের আঠা দিয়ে নকল নখ আটকে তার ওপর প্রথমে নেলপলিশ লাগিয়ে পরে নকশাও করা যেতে পারে। নকল নখ নিজে থেকে যদি না ওঠে তবে টানাটানি করে তোলা উচিত হবে না। যেখান থেকে নেল-আর্ট করেছেন তারাই বিশেষ পদ্ধতিতে নকল নখ তুলে দেন। নেল-আর্ট না করালে পুজোর আগে নখকে বিশেষ ধরনের ক্রিম দিয়ে পলিশ করে নিন। এতে নখে একটা ঔজ্জ্বল্য আসে। দিন দশেক তো এটি থাকবেই। |
|