|
|
|
|
বাঁধ ভেঙে ৫ হাজার চাষি বিপন্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
তুরতুরি নদীর সেচ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শামুকতলার ৯টি মৌজার অন্তত পাঁচ হাজার চাষি বিপাকে পড়েছে। এলাকার কোনও ক্যানেলে জল নেই। পচানোর জলের অভাবে বিঘার পর বিঘা জমিতে পাট শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। চাষিদের অভিযোগ, সমস্যার কথা কয়েকবার সেচ দফতরকে জানিয়েও লাভ হয়নি। কামাখ্যাগুড়ি সেচ দফতরের এসডিও প্রণব সরকার বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেচ বাঁধের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। দ্রুত বাঁধটি মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে।” শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াগাঁও থেকে পুখুরিয়া, পটটোলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একই ছবি। চাষের মাঠে জল নেই। ক্যানেল সহ খালবিল সবই শুকনো। জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে ধান ও পাট চাষি মহলে। জলের অভাবে অনেকেই ধান বুনতে পারেনি। খেতের পাট শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে গোটা এলাকার কৃষি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। তাঁরা জানান, এলাকায় সেচের জল পৌছে দিয়ে বছরে একাধিক ফসল উৎপাদনের সুযোগ করে দিতে ২৫ বছর আগে গারোখুটা এলাকায় তুরতুরি সেচ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধ তৈরির পরে বাসিন্দারা আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু চার বছর আগে বাঁধটি পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিপর্যয় নেমে আসে। ফসল উৎপাদন ক্রমশ কমতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, উৎপাদনের ওই পরিস্থিতির কথা জানার পরেও সেচ দফতর স্থায়ীভাবে কাজ না করে প্রতি বছর জোরাতালি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কারণে এলাকায় সেচের জলের সমস্যা থেকে এতটুকু কমেনি। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন সেচ বাঁধ দিয়ে নদীর জল আটকে রিজার্ভারে জমা করে স্লুইচ গেট দিয়ে ক্যানেলে পাঠানো হত। ওই জলে চাষ আবাদের কাজ চলত। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে ওই কাজ অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ওই বাঁধ কেন মেরামত করা হবে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন চাষিদের অনেকে। পটটোলার মূরসিংহ নার্জিনারি বলেন, “বাঁধ-স্লুইচ গেট রক্ষণাবেক্ষণে সেচ দফতরের কর্তারা ব্যবস্থা নেয়নি। স্থায়ীভাবে মেরামতের কাজ করার জন্য কয়েক বার বলা হয়েছে। কিন্তু ওঁরা শুনছেন না। তাই আন্দোলন ছাড়া পথ খোলা নেই।” এলাকায় সেচের জলের সমস্যা বেড়ে চলায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তারাও উদ্বিগ্ন। শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার ঘোষ বলেন, “সেচের জল না-থাকায় ৫ হাজার চাষি বিপাকে। অস্থায়ী ভাবে বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করেছি।” |
|
|
|
|
|