রেফারি তাঁবুতে চড়াও বেহালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রেফারির রিপোর্ট বদলাতে হবে এই দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়দানের রেফারিদের তাঁবুতে চড়াও হলেন চতুর্থ ডিভিসনের ক্লাব বেহালা ইউথের কর্তারা। কয়েক জন রেফারিকে ধাক্কাধাক্কিও করেন তাঁরা। তাঁবুতে ঢুকে চেয়ার টেবিল উল্টে দেন। রাত পর্যন্ত রেফারি সংস্থার সচিব উদয়ন হালদার-সহ ২০ জন রেফারিকে আটকে রাখে ওই ক্লাবের লোকজন। লালবাজার থেকে পুলিশ বাহিনী এসে আটক রেফারিদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে। উদয়নবাবু বললেন, “রেফারি কী রিপোর্ট দিচ্ছে ওরা দেখতে চায়। রিপোর্ট পাল্টে দিতে বলে।” এ দিন বি জি প্রেস মাঠে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইতে থাকা বেহালার সঙ্গে খেলা ছিল যাদবপুর অগ্রগামীর। রেফারি কর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মাঠ খেলার অনুপযুক্ত তাই খেলতে চায়নি বেহালা। রেফারি তুষারকান্তি মজুমদারকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন বেহালা অধিনায়ক কুশল চট্টোপাধ্যায়। রেফারি নিজেদের তাঁবুতে ফিরে আসার পর বেহালার লোকজন এসে ঝামেলা করে। তাদের দাবি, অধিনায়ক কুশলের লিখিত বক্তব্য বদলাতে হবে। কারণ নিয়মানুযায়ী কোনও দল খেলতে না চাইলে সেই ম্যাচের সঙ্গে পরের ম্যাচেরও পয়েন্ট মিলে তাদের মোট ৬ পয়েন্ট কাটা যাবে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “রেফারির রিপোর্ট দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
মনোজদের জন্য মনোবিদ, যোগগুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাংলা ক্রিকেটের এমনই দুর্দশা যে, শুধু কোচে হচ্ছে না। এ বার মনোজদের সঙ্গে মনোবিদও জুড়ে দিচ্ছে সিএবি। নাম, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ক্রিকেটে তিনি নতুন নন। দেবাঙ্গ গাঁধী যখন বাংলা অধিনায়ক ছিলেন, তখন এসেছিলেন। এ বার আসছেন মনোজ তিওয়ারির টিমের ক্লাস নিতে।
বছরের পর বছর রঞ্জিতে হতশ্রী পারফরম্যান্স। কোচ বদলেও খুব বেশি লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, আসন্ন রঞ্জি মরসুমের আগে দু’টি টুর্নামেন্টে জুনিয়র ক্রিকেটারদের পাঠায় সিএবি। কিন্তু মইন-উদ-দৌল্লা বা বুচিবাবুতে ভরাডুবি হয়েছে বাংলার। সিএবি কর্তাদের মনে হচ্ছে, ক্রিকেটারদের সমস্যা টেকনিকের চেয়েও বেশি মনে। ঠিক হয়েছে, ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সিনিয়র বাংলা দলের ক্লাস নেবেন মনোবিদ। রঞ্জির প্রস্তুতি যখন চলবে, তিনি থাকবেন টিমের সঙ্গে। ম্যাচের আগে বা পরে বসবে তাঁর ক্লাস। ম্যাচের ভিডিও দেখে জেনে নেবেন, কোন ক্রিকেটার মানসিক ভাবে বির্পযস্ত। তার পর ঠিক হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের দাওয়াই। ক্রিকেটাররাও জেনে যাবেন, ‘পাওয়ার টক’ বা ‘পিক পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম’ কাকে বলে। সংস্থার যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বললেন, “কোচ রামনের সঙ্গে কথা বলেই ব্যাপারটা চূড়ান্ত করেছি। আমরা মনে করি, বাংলার ক্রিকেটারদের মানসিক কাঠিন্য কম আছে।” তবে মনোবিদ-পর্বেও শেষ হচ্ছে না। মনোজদের জন্য এ বার থেকে যোগব্যায়ামের ক্লাসও বসবে। সে জন্য খোঁজ চলছে যোগগুরুর।
|
মমতার কাছে অ্যাকাডেমি গড়ার আর্জি ভাইচুংয়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে এ রাজ্যে ফুটবল অ্যাকাডেমি করার আর্জি জানালেন ভাইচুং ভুটিয়া। তাঁর আর্জিতে সম্মত হন মমতা। ভাইচুং তখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অ্যাকাডেমির জন্য জমির কথা তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী ভাইচুংকে জানান, সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে অ্যাকাডেমি হতে পারে। এর পর মমতা মহাকরণে তাঁর ঘর থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে ফোনে ধরেন। ভাইচুংয়ের সঙ্গে মদনের কথা বলিয়ে দেন এবং জানান, ভবিষ্যতে অ্যাকাডেমি করার ব্যাপারে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। ভাইচুং অবশ্য এ দিন মূলত মমতার কাছে যান ২৬ সেপ্টেম্বর ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে। সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগান সহ-সচিব তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু। ফুটবল অ্যাকাডেমি গড়ার আর্জিতে মমতা সাড়া দিলেও ভাইচুংকে জানিয়ে দিয়েছেন, এফপিএ-র অনুষ্ঠানে তিনি যেতে পারছেন না। কারণ তার আগের দিনই মমতার বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের উপনির্বাচন। নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু আচরণবিধি থাকায় আমন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে না মুখ্যমন্ত্রীর।
|
শ্রীনিবাসনের রাস্তা প্রায় পরিষ্কার
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
এ মাসের শেষে ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন এন শ্রীনিবাসন। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বর্তমান বোর্ড সচিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্য একটি পিটিশনের রায়ের উপর। আদালত জানায়, শ্রীনিবাসনের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ হওয়া আটকে দেওয়া মানে তাঁর বিরুদ্ধে অন্য পিটিশনের সিদ্ধান্তও এক সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই পিটিশনটা দেখছে সুপ্রিম কোর্টেরই অন্য বেঞ্চ। শ্রীনিবাসন যেহেতু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দলের মালিক, তাই তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না এই পিটিশন দায়ের করেন বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এসি মুথাইয়া।
|
এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
সংবাদসংস্থা • পাল্লেকেলে |
দ্বিতীয় দিনের খেলা মন্দ আলোর জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৯০ রানে এগিয়ে। হাতে সাত উইকেট। অভিষেক টেস্টে ৮৭ রানে ব্যাট করছেন শন মার্শ। সঙ্গে মাইক হাসি (৭৬ ব্যাটিং)। হাসি-মার্শের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২৬৪-৩। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান এ দিন কুমার সঙ্গকারাকে দিয়েও বল করান। প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। |