অনিয়ম সিপিএমের, অভিযোগ মেয়রের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বাইপাসের রাস্তা সারাইয়ের বরাত দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কলকাতার মেয়র তথা কেএমডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ করে বলেন, “আগের সরকার টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থাকে দু’কোটি টাকার কাজের বরাত পাইয়ে দেয়। সেই টাকা কেএমডিএ-র তহবিল থেকে বেরিয়েও গেলেও রাস্তার কাজ হয়নি।” কেএমডিএ-র এক শ্রেণির ইঞ্জিনিয়ার এবং কেএমডিএ-র কিছু আধিকারিক এতে যুক্ত বলে অভিযোগ শোভনবাবুর। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হবে বলেও জানান ভাইস চেয়ারম্যান। শোভনবাবু জানান, আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় বাইপাসের রাস্তা নিয়ে কেএমডিএ ভাবনাচিন্তা শুরু করাতেই সামনে এসেছে টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি। এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই দাবি করে প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “মন্ত্রীরা পরিকল্পনা করলেও কাজ কাকে দিয়ে করানো হবে, তা দেখা তাঁদের কাজ নয়। ফলে বাইপাসের রাস্তার কাজের বরাত কে কাকে দিয়েছিলেন, আমি জানি না। এ বিষয়ে দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বা সিইও ভাল বলতে পারবেন।” কেএমডিএ-র সিইও বিবেক ভরদ্বাজ অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দু’জন। গোয়েন্দাপ্রধান দময়ন্তী সেন শুক্রবার জানান, জুলাইয়ে নীতীশচন্দ্র সাহারায় নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এক ভ্রমণ সংস্থা তাঁকে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৪টি জাল ই-টিকিট ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে। শুক্রবার ওই সংস্থার মালিক শোভন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রের কলেজে এক তরুণীকে ভর্তি করানোর নামে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন সৈকত রায় ওরফে বুম্বা ওরফে রাহুল সিংহ। গোয়েন্দাপ্রধান জানান, মেয়েটি ভর্তি হতে না পারায় তাঁর বাবা মনোজ দোশি এপ্রিলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সৈকতকে কুলটি থেকে ধরা হয়। |
স্টার থিয়েটার ঘিরে পুরসভা ও বেসরকারি বিনোদন সংস্থার চাপান-উতোর অব্যাহত। পুরসভার অভিযোগ, লিজের শর্ত না মেনে ব্যবসা করছে ওই সংস্থা। ‘হেরিটেজ’ ভবনে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। চলছে রেস্তোরা। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “লিজবাবদ ভাড়া ছাড়াও ৫০% লভ্যাংশ পুরসভাকে দেওয়ার বদলে সংস্থা ১০-১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক ক্ষতি দেখাচ্ছে।” অভিযোগ উড়িয়ে বিনোদন সংস্থার কর্ণধার অরিজিৎ দত্তের দাবি, ‘অডিট’ সংস্থার তৈরি ব্যালেন্স শিট পুরসভায় জমা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন,“স্টার নতুন করে তৈরি হওয়ার সময়ে পুরসভাই রেস্তোরাঁ বানায়। প্রায় পাঁচ বছর চলার পরে পুরসভার টনক নড়ল?” অতীনবাবু জানান, ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ২০০৫ সালে গড়া অছি পরিষদই স্টার চালাবে। |
অটো ভাড়া নিয়ে ‘তৃণমূল সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ কান্তির |
দক্ষিণ শহরতলিতে অটোর ভাড়া বাড়ানো নিয়ে তৃণমূল ‘সন্ত্রাস’ করছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষিণ শহরতলি কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার ফলে সেখানে ট্র্যাফিকের নতুন বিধিনিষেধ লাগু হয়েছে। অটোয় ৫ যাত্রীর বদলে ৪ জন নিতে হচ্ছে। এক জন যাত্রী কমে যাওয়ায় ক্ষতি পোষাতে ভাড়া বাড়িয়েছে অটোচালক সংগঠনগুলি। শুক্রবার মুকুন্দপুরের এক জনসভায় কান্তিবাবু বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে ভাড়া বাড়ানো হোক। কিন্তু তৃণমূল আলোচনায় যাওয়ার বদলে সিটু কর্মীদের মারধর করছে।” এতে ৫ সিটু সমর্থক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও তিনি জানান। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ‘অছিলা’য় তৃণমূল ‘সন্ত্রাস’ কায়েম করতে চায়। সন্ত্রাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন কান্তিবাবু। তাঁর কথায়, “সাতের দশকে বামপন্থীরা ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস করিনি।” কান্তিবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে যাদবপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বলেন, “বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
সন্ধ্যাকে ছুটি দিল হাসপাতাল |
হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকেরা জানান, শিল্পীর শ্বাসকষ্ট আপাতত নেই। হৃৎস্পন্দনও স্বাভাবিক। হৃৎস্পন্দনের হার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যাদেবীকে মঙ্গলবার ভোরে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রবীণ এই শিল্পীকে আগাগোড়াই রাখা হয়েছিল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে। |
ডাকাতির চাঁই পাকড়াও সল্টলেকে |
সল্টলেকের এ-এইচ ব্লকের একটি বাড়িতে ৩ অগস্ট ভোরবেলা হানা দিয়েছিল ডাকাতেরা। মাসাধিক কাল পরে, শুক্রবার সেই ঘটনায় সল্টলেক থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিনোদ সিংহ ও টুকাই দাস। তাদের কাছে কিছু গাঁজাও পাওয়া গিয়েছে। বিধাননগরের এক পুলিশ অফিসার জানান, বিনোদ পেশায় অটোচালক। সেই এই কাণ্ডের মূল পাণ্ডা। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজ চলছে। এ-এইচ ব্লকের ওই বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্ত্রী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের হাত ও মুখ বেঁধে প্রচুর টাকা ও গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গৃহকর্ত্রী জানিয়েছিলেন, ডাকাতদের মুখ ঢাকা ছিল এবং তারা বাংলায় কথা বলছিল। ডাকাতির সময় তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলেও সুমিত্রাদেবীর অভিযোগ। পুলিশি সূত্রের খবর, সেই সময় গৃহকর্তা দেবদাস মুখোপাধ্যায়কে আলাদা ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। |