|
|
|
|
|
|
অনেক তো হল, তুমি কাঁদছ কেন?
শম্ভু ভট্টাচার্য |
|
আমার জীবনের প্রায় ৯০ ভাগ রবিবার। অর্থাৎ ধড়ফড়িয়ে নাকে-মুখে গুঁজে দৌড়নোর দিন প্রায় ছিল না বললেই চলে। কারণ, আমি সে ভাবে চাকরি করিনি। তাই পুরো সময়টাকে আমি ‘রবিবার’ হিসেবে পেয়েছি। তবে সেটা ছুটির অবকাশ নয়। আমি হেঁটেছি, দৌড়েছি, হাঁফিয়েছি, ক্লান্তও হয়েছি সেই সব দিন আমার কাজের দিন। সপ্তাহান্তে কোনও রবিবার আরাম নিয়ে আসেনি।
আমার জীবনে রবিবারের কথা বলব। কত কথা জমা হয়ে আছে। জীবনের রাজপথ, তিরানব্বই বছর বলে কথা। কম দিন তো নয়। তবে দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা, এখন ভোলার সময়ও এসেছে। তবে কিছু কিছু কথা ভুলতে পারছি কই?
লেক গার্ডেন্সের সুপার মাকের্টের উপরে ভাড়া করা এক কামরার ঘরে আমি আজও বেশ দেখতে পাই ১১ নম্বর নিবেদিতা লেন। ওখানে ছিল আমাদের ক্লাব। নবীন সঙ্ঘের হয়ে ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট ও ভলিবল খেলছি। অত্যন্ত ডানপিটে ছিলাম। কিছুটা দূরে ছিল গঙ্গার ‘বটতলা ঘাট’। সাঁতরে মাঝ-গঙ্গায় গিয়ে খড়ের নৌকার হাল ধরছি। সাঁতারে আমার গুরু ছিলেন নলীনচন্দ্র মালিক। আমার দাদা ছিলেন জন্মান্ধ। তাঁকে প্রতি দিন গঙ্গায় স্নান করাতে যেতে হত। স্নান করানো হয়ে গেলে দাদাকে সিঁড়িতে বসিয়ে রেখে আমি নামতাম সাঁতারে।
আমার জন্ম ১৯১৮ সালে। বাবা বরদাকান্তের ছোট সন্তান আমি। কুমুদ নামটি ছিল শৈশবে, পুরো নাম কুমুদরঞ্জন। উপনয়নের সময় নামকরণ হয় শম্ভু। ঠাকুরদা ছিলেন ফরিদপুর জেলার জপসা গ্রামের নিষ্ঠাবান ধার্মিক মানুষ। পৌরহিত্য ছিল তাঁর জীবিকা। পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে আমাকেও যেতে হত বাড়ি বাড়ি পুজো করতে। কিন্তু পুজোতে আমার কোনও দিনই মন ছিল না। দাদা নলিনীকান্তের সঙ্গে যেতাম রামায়ণ গান গাইতে। পড়াশোনা ইউপি স্কুল হয়ে শ্যামবাজার হাই স্কুলে। ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ে ওখানেই ইতি।
বিনয় রায়ের হাত ধরে আমার সংস্কৃতির জগতে আসা। ওঁর পরিকল্পনায় ‘হিটলার’স ডেথ’ মঞ্চস্থ হল। আমি নৃত্যরূপ দিলাম। হিটলারের ভূমিকায় ছিলাম আমি। এর পরে নিজের পরিকল্পনায় নিজেই নৃত্য পরিবেশন করলাম ‘মরু বিজয়ের কেতন উড়াও’ গানটিতে। এখানে নাচের সঙ্গে গানও গেয়েছিলাম। আমার সংস্কৃতির জগৎ ধীরে ধীরে বিস্তৃত হতে শুরু করল।
|
|
এর পরে বিদেশ যাওয়া। বুলবুল চৌধুরীর সঙ্গে বিদেশ যাত্রা। এক বছর ধরে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে অনুষ্ঠান করেছি। সুচিত্রা মিত্রের ‘রবিতীর্থ’র সঙ্গে আমেরিকা ও কানাডায় অনুষ্ঠান করেছি। এই রবিতীর্থে আমার স্ত্রী চন্দ্রার সঙ্গে আলাপ হয়। চন্দ্রা, রবিতীর্থে ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যে মায়ের রোল করত। পরে আমি রুমাদির গ্রুপে আসি। ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’-এর সদস্য হিসেবে ডেনমার্ক, লন্ডন ও মস্কোয় অনুষ্ঠান পরিবেশন করি। কাজের গতি বাড়তে থাকে। হারিয়ে যেতে থাকে ‘রবিবার’ শব্দ। দিল্লির ভারতীয় কলাকেন্দ্রে যোগ দিই। গুরু গোপীনাথের নির্দেশে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘রামলীলা’য় আমি রাবণের চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতাম। আমার স্ত্রী কখনও সীতা, কখনও অহল্যা বা অন্য কোনও চরিত্রে অভিনয় করতেন।
দিল্লি থেকে ফিরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোকরঞ্জন শাখায় অল্প কয়েকদিন চাকরি করি। সেই সময় ক’টা রবিবার আমাকে ছুঁতে পেরেছিল। তবে সেই ছুটির আরাম আমি পাইনি। কারণ, আমার অনুশীলন ও অনুষ্ঠান আমাকে রবিবারের অবকাশ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।
অসমে সারা ভারত গণনাট্য উৎসব। সেই উৎসবে পরিবেশিত হল ‘দু’টি কলি একটি পাতা’। স্থানীয় কয়েক জন ছেলেমেয়েকে তালিম দিয়ে গড়ে তুলেছিলাম একটি সাংস্কৃতিক দল। তারা চা-শ্রমিকদের যন্ত্রণার কথা নিয়ে লেখা ভুপেন হাজারিকার গানের সঙ্গে নেচেছিল। ছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস, ভুপেন হাজারিকার বোন রোজ হাজারিকা ও কুইন হাজারিকা।
ভারতীয় গণনাট্যের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়ার ফল বোধ হয় ভাল হল না। ১৯৫১ সাল যেন আগে থেকে বুঝতে পেরেছিল ‘এই দুঃখের কাল’কে। চার দিকে শুধু অবজ্ঞা আর অপমানের জ্বালা। তখন আমার জীবনের হাল ধরতে এগিয়ে এলেন সলিল চৌধুরী। বললেন, ‘তুমি কাঁদছ কেন? অনেক তো হল। শোনো, আমি রানারের সুর করেছি। তুমি এটাতে নৃত্যরূপ দাও’। ‘রানার’-এর জন্ম হল। আঁধার কেটে ভোর হল। পথ চলল গড়গড়িয়ে। দেশে বিদেশে ‘রানার’ করেছি প্রায় দশ হাজার বার।
বেলেঘাটায় সুকান্ত-মূর্তির সামনে প্রথম ‘রানার’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এক বার সোভিয়েত রাশিয়ার কয়েক জন অতিথি বিনয় রায়ের সঙ্গে এসেছিলেন কলকাতায় স্নেহাংশু আচার্যের বাড়িতে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘রানার’। সে-দিন উপস্থিত ছিলেন উদয়শঙ্কর। অর্থকষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। প্রবল প্রতাপে ‘রানার’-এর পদক্ষেপ দেশে বিদেশে মানুষের মন মাতিয়েছে। হাতে লাঠি, আদুল গা, মাথায় পাগড়ি ‘রানার’ আর আমি এক হয়ে গিয়েছিলাম। ‘রানার’ আমাকে বহু দিন বাঁচিয়ে রেখেছিল।
|
আমার প্রিয়
প্রিয় খাবার: ডাল-ভাত-আলুভাতে
প্রিয় মানুষ: বিনয় রায়
প্রিয় ফুল: গোলাপ
প্রিয় গান: মন তুমি কি চিরজীবী প্রিয় জায়গা: গঙ্গার ধার
প্রিয় নাচ: ‘রানার’ ও ‘আমার কৈফিয়ৎ’
প্রিয় সুরকার: হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও সলিল চৌধুরী
প্রিয় লেখক: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
কাছের মানুষ: চন্দ্রা ভট্টাচার্য (স্ত্রী) |
|
‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ করার সময় ঋত্বিক ঘটক আর ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর সময় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। কাজ করার সময় দেখেছি এই দুই পরিচালক সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর। ঋত্বিকদা অত্যন্ত খামখেয়ালি মানুষ ছিলেন। নাচ ছিল আমার বিষয় তাই আমার মতো করে করেছিলাম। কিন্তু সত্যজিৎবাবু নাচের প্রতিটি অংশ জ্যামিতিক নকশায় বুঝিয়ে দিতেন। ভূতের রাজার নৃত্য তো আজ বিশ্ববন্দিত। কিন্তু মানুষ আজ আর আমায় মনে রাখল কই?
বহু মানুষের সান্নিধ্যে দিন কেটেছে আনন্দে। পরে এলাম কল্যাণ সেনবরাটের ‘ক্যালকাটা কয়্যার’-এর কাছে। জীবনের উপান্তে এসে মনে হল একটা মোড় পেয়েছি। এখানেও এসে কাজ করছিলাম। মনে আনন্দ ছিল। এখন কল্যাণ আমার দেখাশোনা করছে। খুবই অসুস্থ। পুরনো দিনের কথা ভেবে চন্দ্রার দিকে তাকাই। ও-ও আমার দিকে। কোথায় ‘রানার’, কোথায় ‘চণ্ডালিকা’?
|
সাক্ষাৎকার পাপিয়া মিত্র
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
lসিনেমা ব্যান করার উপরেও ‘আরক্ষণ’(সংরক্ষণ) জারি করা হোক, যাতে সেন্সর বোর্ড অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা নিজেদের সুবিধার্থে ফতোয়া জারি করতে না পারেন!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা
lX জনৈক ‘কুক’-এর সৌজন্যে এজবাস্টনে ইংল্যান্ড ধোনি-বাহিনীকে সুস্বাদু খাদ্য বানিয়ে দেশবাসীকে পরিবেশন করল!
প্রবীর সোম। বিরাটি
l‘মণি হারা ফণী’ টিম ইন্ডিয়া এই ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারে, ৩৪ বছরের বাম দল যখন বাংলায় এমন ভাবে পর্যুদস্ত হতে পারে, তখন ২১ মাসের ১নং থাকা টিম ইন্ডিয়া না হয় তার পুরনো স্থানেই ফিরে গেল। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বোর্ড কর্তারা আলিমুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
* কঙ্কাল-কাণ্ড ফ্রন্টে অর্থাৎ সামনে এসে পড়াতে বামফ্রন্ট নেতাদের কপালে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁদের ফ্রন্ট ভেঙে গিয়ে দলটি শেষকালে কঙ্কালফ্রন্ট না হয়ে যায়!
শাশ্বত গুপ্ত। কল-৩২
lকঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ আত্মসমর্পণ করে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কঙ্কাল হয়ে যাননি!
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর
lকঙ্কাল-১: সুশান্ত গ্রেফতার হয়েছে। এ বার বোধ হয় আত্মাটা শান্তি পাবে।
কঙ্কাল-২: কে জানে, মামলা কত দিন চলে। ও আবার না মন্ত্রী হয়ে ফিরে আসে; তখন তো একটা হাড়গোড়ও আস্ত থাকবে না!
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর
lএক অনুষ্ঠানে উধাও চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নের জুতো। জানলাম, সে জুতো মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পায়ে। অন্যের জুতোয় পা গলানোর এত দিন একচেটিয়া হক ছিল শিল্পীদেরই। এখন মন্ত্রীদেরও! অবশ্য, শিল্পীরা মন্ত্রী হলে, মন্ত্রী শিল্পী হবেন না কেন? পরিবর্তনের হাওয়া বলে কথা!
রঘুনাথ মণ্ডল। সিউড়ি
lবিদেশে থাকা কিপটে স্বামী বউকে চিঠি: ডার্লিং, এ মাসে অনেক খরচ, তাই টাকা পাঠাতে পারছি না। বদলে ১০০০ মিষ্টি চুম্বন পাঠালাম! কষ্ট করে মাসটা চালিয়ে নিয়ো। গিন্নির উত্তর: গ্যাস, ইলেকট্রিক, ফোন, কাগজ, মুদিখানা, বাজার এ সবের জন্য তোমার পাঠানো ১০০০ চুম্বন খুবই কাজে লেগেছে, মাস চালাতে কোনও সমস্যাই হয়নি!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর |
|
|
জগন্নাথ বসু |
সব গুণী শিল্পীই কিছুটা খুঁতখুঁতে হন। শম্ভু মিত্র কিছুতেই খুশি হতে পারতেন না। একটি স্ক্রিপ্টে লেখার ভাষাকে সাদামাটা কথোপকথনের স্টাইলে বদলে নেওয়াটা তাঁর কাছে ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথের ‘চার অধ্যায়’-এ একটি সংলাপ ছিল, নায়ক নায়িকাকে বলছে, ‘এনে দিলুম আমার কাপড়ের তোরঙ্গ তোমার চরণতলে।’ শম্ভু মিত্রের কণ্ঠে এটি মঞ্চে হয়ে যেত, ‘পায়ের তলায়’।
বিভূতিভূষণের ‘ফকির’ বেতার-নাটকে একটি চরিত্র এক মহিলাকে ফুঁসলে নিয়ে যেতে এসেছিল। মেয়েটিকে ফিসফিসিয়ে ডাকার গলাটি অভিনেতাটি কিছুতেই ফোটাতে পারছিল না। ওই নাটকের নাম-ভূমিকায় অভিনেতা শম্ভু মিত্র আমাকে আলতো টোকা দিয়ে বললেন, ‘লোকটি যখন ওকে ডাকছে,
|
|
তখনই লোকটা অ্যারাউজড, ভাবছে ওকে কতক্ষণে...’ শম্ভুদার ওই ক্লু-টুকু পেয়ে কাজটা সহজ হয়ে গেল! গ্রেট আর্টিস্টরা ছোট ছোট আবেগের স্তরগুলিকে অনায়াসে বিশ্লেষণ করতে পারেন। আর গুড আর্টিস্ট যিনি, তিনি জীবনকে অবিকল নকল করেন, কিন্তু অনুভূতির স্তরভেদগুলিকে এমন অনায়াস দক্ষতায় চিহ্নিত করতে পারেন না।
শম্ভু মিত্র এক বার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমরা রেডিয়ো নাট্যশিল্পীদের সম্মান-দক্ষিণা সবচেয়ে বেশি কত দাও?’ আমি অঙ্কটি বলি এবং এই তালিকাভুক্ত ভারতের বিশিষ্ট ক’জনের নামও বলি। শম্ভুদা নিজের মাথার চুলে আঙুল বুলোতে বুলোতে বলেন, ‘ওই সর্বোচ্চ অঙ্কের চেয়ে আমাকে এক টাকা বেশি দিতে পারবে, জগন্নাথ?’ আমি অপ্রস্তুত হই। আজ এই বয়সে আসার পর, এখন মনে হয়, শম্ভুদার দাবি কি খুব অসঙ্গত ছিল? কারণ, তিনি তো শুধু গুড আর্টিস্ট ছিলেন না, ছিলেন মহান এক নাট্যব্যক্তিত্ব, যাঁর প্রতি ভারতের বিশিষ্ট নাট্যজনেরা অনেকেই শ্রদ্ধাবনত। কাল ২২ অগস্ট তাঁর জন্মদিন। |
|
|
কী কেলেঙ্কারি সে কওন যায় না।
মানে, ক্যান নট বি স্পোকেন।
গলদঘর্ম হইয়া গ্যালেন ব্যবহার করতে টোকেন।
মানে, যেইডা দিয়া যাত্রী সকল ইস্টেশনে বাইরান আর ঢোকেন।
তাই কই, ‘টোকেন-লজি’তে সম্পূর্ণ ফেল,
ঘুঁটে মালা লয়েন মেট্রো রেল। |
|
|
|
আচ্ছা কমরেড, গড়বেতার পার্টি অফিসে
কি অ্যানাটমির ক্লাস হচ্ছিল?
দেবব্রত গুপ্ত, চিত্তরঞ্জন পার্ক |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের আঁকা ছবি নিয়ে এক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সব ছাত্রছাত্রীর মতো আমিও প্রদর্শনীর জন্য একটি ছবি এঁকে স্কুলের ড্রয়িং স্যরের কাছে জমা দিই। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গোল বাধল প্রদর্শনীর দিন। দেখে তো আমি হতবাক! আমার আঁকা ছবির নীচে শিল্পীর নাম হিসেবে আমাদেরই ক্লাসের আর একটি ছেলের নাম রয়েছে। অভিযোগ জানালাম ড্রয়িং স্যরের কাছে, কিন্তু উনি অস্বীকার করলেন। বললেন, তাঁর কোনও ভুল হয়নি। পরে জেনেছিলাম, স্যরের স্নেহভাজন ছাত্রটি তাঁর বাড়িতে গিয়ে ছবি আঁকা শিখত, যা আর্থিক কারণে আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেক দিন হল ড্রয়িং স্যর মারা গেছেন, কিন্তু স্বর্গত মানুষটিকে আজও ক্ষমা করতে পারিনি।
সুদীপ চট্টোপাধ্যায়,
হাওড়া-৬ |
|
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|