|
|
|
|
|
|
জুতসই চুলের কাট, বাড়াবে ফাঁট
চুলের কাট, চুলের রং নিমেষেই আপনার ভোল পাল্টে দিতে পারে। কিন্তু সে
ক্ষেত্রে এই
দুই-ই হতে হবে আপনার মুখের আদল মেনে। চুলের যত্ন, স্টাইল
নিয়ে
কথা। বলছেন
ল’রিয়েল হেয়ার অ্যাকাডেমি’র একতা ভট্টাচার্য |
|
বয়স বাড়তে থাকবে আর চুল ছোট হতে থাকবে এই ভাবে আনা যাবে ‘ইয়ং লুক’। বিখ্যাত হেয়ার ডিজাইনারদের এখন এটাই মত। সমস্ত পৃথিবী এখন পাল্লা দিয়েছে ‘কচি কম্পিটিশন’-এ। এমন কী চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঘরে ঢুকেই আপনি যদি বস’কে বলেন, ‘ইউ লুক সো ইয়ং’, জানবেন, আপনার চাকরিটি পাকা হয়ে গেল, হয়তো তার মাথায় টাক, কিন্তু এখন টাকও ইন ফ্যাশন। সুতরাং চটচটে চাকচিক্যহীন চুল নিয়ে ঘরের কোণে বসে থাকবেন না। এক দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরামর্শ নিয়ে নিন এক জন হেয়ার স্টাইলিস্ট-এর। তিনি আপনাকে ঠিক পথ দেখাবেন।
যাদের খুব বেশি পরিমাণে চুল উঠে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে সত্তর থেকে আশি শতাংশ কিন্তু মেরামত করা সম্ভব। তবে একটি লম্বা ট্রিটমেন্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মাঝপথে বন্ধ করে দিলে চলবে না।
• মাসে দু’বার চুলের চিকিৎসা করালে ক্ষতিগ্রস্ত চুল ঠিক হবে। চুল ওঠা বন্ধ হবে। অনেক দিন পর্যন্ত চুল থাকবে।
• চুলের গুণগত মান উন্নত হবে।
• চুলের চিকন ভাব (শাইন) ফিরে আসবে।
|
হেয়ারকাট |
আপনার পছন্দ মতো হেয়ারকাট আপনি এখন আর পাবেন না। আপনার চেহারা, বয়স এবং চাকরি এই তিনটি কারণের উপর নির্ভর করে হেয়ারকাট। কর্পোরেটে কর্মরতা মহিলার হেয়ারকাটের সঙ্গে গৃহবধূর হেয়ার কাট মিলবে না। কারণ এক জন সাধারণ গৃহবধূ ওই বিশেষ ধরনের হেয়ার স্টাইলটি ‘ক্যারি’ করতে পারবেন না। সুতরাং প্রতিটি হেয়ার স্টাইল ভেবেচিন্তে করা উচিত। তবে লেয়ারস, টেক্সারাইজেশন, ওয়েজ কাট, বিভিন্ন ধরনের ব্লান্ট কাট এইগুলিই এখন ইন ফ্যাশন।
|
হেয়ার কালার |
মেয়েরা চুল রং করছে হাজার হাজার বছর আগে থেকে। গ্রিসের রমণীরা হেনা ব্যবহার করত চুল লাল করার জন্য এবং তার ওপর সোনার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিত। ফলে বহু দূর থেকে ঝিকমিক করত, আলো ঠিকরে পড়ত। রোমান রমণীগণ ক্রীতদাসীদের চুল কেটে তাকে রং করে উইগ বানিয়ে সেটি মাথায় পরত। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়টি হল আফ্রিকার মেয়েরা চুল রং করতে এবং চুলকে শক্ত রাখতে বিভিন্ন পশুর মল চুলে ব্যবহার করত। ফলে হেয়ারস্টাইলটি বেশ শক্ত ও মজবুত থাকত। এ ছাড়া আর একটি ভয়ানক তথ্য আছে, যেটি শুনলে আমরা আঁতকে উঠি। রেড ইন্ডিয়ানরা দাড়ি লাল করত স্পেনীয়দের রক্ত দিয়ে (অবশ্যই তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর)।
আমাদের এই সব কষ্টসাধ্য এবং ভয়ানক উপায় ভেবে লাভ নেই। এখন চুল রং সবাই করছেন। ছেলেরাও এই রঙে মহানন্দে সামিল হয়েছেন।
তবে আগের মতো এখন চড়া রঙের ব্যবহার একেবারেই ফ্যাশন বহির্ভূত। সমস্ত চুলটিকে লাল কিংবা কপার অথবা ব্রোঞ্জ করতে যাবেন না। হালকা কোনও রং বেছে নিন। হাইলাইট পুরো মাথায় করাবেন না। কিছু চুল বেছে নিয়ে খুব হালকা ভাবে হাইলাইট করুন। হাল্কা বার্গান্ডি, হাল্কা ব্লন্ড, মেহগনি রেড, ডার্ক কফি, ওয়ালনাট কালার, ডার্ক ব্লন্ড, ডার্ক ব্রোঞ্জ রংগুলি দিয়ে চুল হালকা ভাবে হাইলাইট করা ভাল। এ ছাড়া আছে স্যাটিন কালার, যেটি লাগালে এমনিতে বোঝা যাবে না আপনার মাথায় কোনও রং আছে। কিন্তু রোদে গেলে চকচক করবে। যেমন ভায়োলেট, পার্পল ইত্যাদি। রং ব্যবহার করতে হবে গ্লোবালি, অর্থাৎ পুরো মাথায়, কিন্তু হালকা ভাবে।
|
চুলের কালারিং: সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি |
আপনি যদি আগে কোনও দিন চুলে রং না করে থাকেন, তবে প্রথমেই আপনাকে ত্বকের ওপর একটি পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। আপনার স্ক্যাল্প যদি খুব সেনসিটিভ হয়, তবে জ্বালা করবে। তখন আপনি বুঝতে পারবেন চুলে রং করা আপনার সহ্য হবে না। যাঁরা কোনও দিন কালার করেননি, তাঁদের জন্য প্রথমে হাইলাইট করানো ভাল। ফলে আপনার দুই কুলই থাকল। স্টাইলও হল, অথচ ত্বকের কোনও ক্ষতি হল না।
|
|
সাক্ষাৎকার: কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |
|
|
|
|
|