|
|
|
|
কাজে ত্রুটি, সাসপেন্ড ৩ সরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রক্তের টানাটানির সমস্যা তো আছেই। সেই সঙ্গে বহু সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের কাজকর্মে ত্রুটিবিচ্যুতির প্রমাণও পেয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। কাজে গাফিলতি, স্বচ্ছতার অভাব এবং পরিকাঠামোর ভঙ্গুর দশার জন্য একসঙ্গে রাজ্যের তিনটি সরকারি ব্লাডব্যাঙ্ককে সাসপেন্ড করেছে তারা। পরিষেবার উন্নতি না-ঘটানো পর্যন্ত ব্লাডব্যাঙ্কগুলিকে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বোলপুর সদর হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক, সিউড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক ও তমলুক সদর হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে।
রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অধিকর্তা চিন্তামণি ঘোষ শুক্রবার জানান, বেশ কিছু দিন ধরে ওই ব্লাডব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল। দিন কুড়ি আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারেরা অভিযানে গিয়ে দেখেন, অভিযোগ বহুলাংশে সত্যি। তার পরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চিন্তামণিবাবুর কথায়, “সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের উপরে সাধারণ মানুষের নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ওই সব ব্লাডব্যাঙ্ক বন্ধ হলে মানুষ অসুবিধায় পড়বেন বুঝেও আমরা কড়া হতে বাধ্য হলাম। কারণ, এ ভাবে ব্লাডব্যাঙ্ক চলতে থাকলে যে-কোনও মুহূর্তে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাবে।”
ওই তিনটি ব্লাডব্যাঙ্কের কাজকর্মে কী ধরনের গলদ ধরা পড়েছে? গাফিলতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের উপ-অধিকর্তা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কর্মী কম বলে ওই সব ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের বিভিন্ন বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করাই হচ্ছে না। ফলে গ্রহীতাদের দেহে এইচআইভি, হেপাটাইটিস-বি বা ম্যালেরিয়ার জীবাণু চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।” তিনি আরও জানান, অনেক ব্লাডব্যাঙ্কের অপরিচ্ছন্ন ঘরে রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। সেই সব পরীক্ষার কোনও রেকর্ডও রাখা হচ্ছে না। এই ভাবে আর চলবে না বলে মন্তব্য করেন অমিতাভবাবু।
ওষুধ কেনার ক্ষেত্রেও মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোন সংস্থার কোন ওষুধের কোন ব্যাচ খারাপ পাওয়া গিয়েছে, এ বার থেকে সেই সব তথ্য প্রতি মাসে ড্রাগ কন্ট্রোলের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বা মেয়াদ ফুরোনোর তারিখের পাশাপাশি ওষুধের ব্যাচ নম্বরও ভাল ভাবে দেখে নিয়ে তবেই তা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা। |
|
|
|
|
|