|
|
|
|
চিকিৎসার দাবি এড্স রোগীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
একটুও চিকিৎসার সুযোগও তাঁরা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগে শুক্রবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ‘এইচআইভি পজিটিভ’ ও এড্স আক্রান্তেরা। তাঁদের অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, বিশেষত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সামান্য জ্বর বা পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি এড্স আক্রান্তের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করছেন ডাক্তারেরা।
‘এইচআইভি পজিটিভ’ ও এড্স আক্রান্তদের সংগঠনের সভাপতি দীনবন্ধু গড়াই এ দিন অতিরিক্ত জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভায় দাবি করেন, গত এক বছরে বিনা চিকিৎসায় তাঁদের সংগঠনের ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেই নানা উপসর্গ নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দীনবন্ধুবাবু অভিযোগ করেন, যে মুহূর্তে ডাক্তার ও নার্সরা জেনেছেন, অসুস্থ এক জন এড্স আক্রান্ত, চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুস্থ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি হাসুপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ, কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
ওই সংগঠনের সদস্যদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যখন এক এড্স আক্রান্ত মহিলাকে মহাকরণে ডেকে চাকরি দিচ্ছেন, তখন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘এইচআইভি পজিটিভ’ পাঁচ বালক-বালিকাকে বর্ধমান ১ ব্লকে ঝিঙ্গুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন। এ ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে মারমুখী জনতার হুমকির মুখেও পড়েন আধিকারিকেরা।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “এক শ্রেণির চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে এখনও এড্স ভীতি রয়ে গিয়েছে। তা কাটাতে আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কর্মশালা করব।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। দরকার হলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবা।” অতিরিক্ত জেলাশাসক পূর্ণচন্দ্র শীট বলেন, “কেন এমন হচ্ছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নেব। প্রয়োজনে বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হবে।” উল্লেখ্য, এ দিন রাজ্যের ১৯টি জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলাশাসকের দফতরের সামনে নানা সমস্যার কথা জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান এড্স আক্রান্তেরা। |
|
|
|
|
|