|
|
|
|
বৈঠকে প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুজোর উদ্যোক্তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সমস্ত অনুমতিপত্রের জন্য এক জানালা পদ্ধতি বা ‘সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম’ চালুতে উদ্যোগী শিলিগুড়ি পুলিশ-প্রশাসন। শুক্রবার শহরের সার্কিট হাউসে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা বিদ্যুৎ, পুরসভা, দমকল-সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ট্রাফিক ব্যবস্থা, মণ্ডপের মাপকাঠি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পানীয় জল এবং পুজো গাইড নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোয় সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করার উপর জোর দিয়েছেন। ১৫ দিনে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের আরেক দফায় বৈঠকের পর পুজো উদ্যোক্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলি জানানো হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” মহকুমা শাসক সৌরভ পাহাড়ি বলেছেন, “সুষ্ঠুভাবে নিবিঘ্নে পুজোর জন্য সমস্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে।” উদ্যোক্তাদের অনুমতির জন্য দমকল, বিদ্যুৎ, পুলিশ ছাড়া পুরসভার কাছে নির্ধারিত সময়ে আলাদা আবেদন করতে হয়। মণ্ডপে গান বাজানোর জন্যই কপিরাইট আইন অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থারও অনুমতি নিতে হয়। বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি দেখার দাবিও ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় বিষয়টি বলার পর এখন প্রশাসনিক স্তরে তোরজোড় শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মহকুমাশাসক বা অন্য কোনও সরকারি দফতরে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের অফিসারেরা থাকবেন। নির্ধারিত সময়ে ক্লাবের তরফে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সেখানে গেলে একবারে অনুমতিপত্র দেওয়া হবে। তবে ঠিক কী ভাবে তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শিলিগুড়ি শহরে সর্বজনীন, বাড়ির পুজো মিলিয়ে ১৪৪টি পুজো হয়। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য পুজো গাইড ম্যাপ, সহায়তা কেন্দ্র, টেলিফোন বুথ এ বারও করা হচ্ছে। নতুনত্ব বলতে এনজেপি, বাস টার্মিনাস থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ‘গাইড হোর্ডিং’ দেবে প্রশাসন। শহরের বাসিন্দারা তো বটেই বাইরে থেকে কেউ পুজোর দিনগুলিতে শহরে এলে ওই হোর্ডিং দেখে পুজো মণ্ডপের অবস্থান, ট্রাফিক নির্দেশিকা এবং প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর পাবেন। মণ্ডপ উচ্চতা ৪৫ ফুট রাখা ছাড়া বিদ্যুতের মিটার, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাতের জলসা এবং মাইকের জন্য পুলিশ-প্রশাসনের আলাদা অনুমতি নিতে হবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স, শিশু সহায়তা, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাহায্য নেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পুজোয় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থায়। পুজোয় যান চলাচলের নির্দেশিকা ছাড়াও গাড়ি ও মোটর সাইকেল পার্কিং করার জন্য আলাদা জায়গা, পদ্ধতি এবং প্রধান রাস্তাগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও কড়া হবে। পুজোর ঠিক এক মাস আগে এগুলি চালু হবে। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাকে উদ্যোগী হতে বলা হবে। বৈঠকে মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়াও ডিএসপি প্রদীপ পাল, শহরের দুই থানার আইসি অলোক দাশগুপ্ত এবং দীপঙ্কর সোম-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|