|
|
|
|
জেলা ভাগ নিয়ে সর্বদল বৈঠক হবে জেলা স্তরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জেলা বিভাজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে জেলা স্তরেই সর্বদল বৈঠক করার কথা বলল রাজ্য। জেলা স্তরের সর্বদল বৈঠকেও রাজ্য মন্ত্রিসভার কোনও না কোনও সদস্য উপস্থিত থাকবেন। তবে কে কোন জেলার সর্বদল বৈঠকে যাবেন, তা পরে ঠিক হবে। শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্য স্তরের সর্বদল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা বিভাজন নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে জেলা স্তরে সর্বদল বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী পক্ষ বামফ্রন্ট। শাসক পক্ষ এ দিন তা মেনে নিল।
এ দিনের সর্বদলের আলোচ্যসূচিতে রাজ্যের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে জেলা বিভাজনের বিষয়ও ছিল। সেখানেই ঠিক হয়, প্রাথমিক ভাবে যে চার জেলা বিভাজনের প্রস্তাব উঠেছে, সেগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জেলা স্তরে সর্বদল বৈঠক হবে। বৈঠক ডাকবেন চার জেলার জেলাশাসক। প্রাথমিক ভাবে জলপাইগুড়ি, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরএই চার জেলা বিভাজনের প্রস্তাব উঠেছে। তবে পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনাও ভাঙা হতে পারে। পরিষদীয় মন্ত্রী এবং বিধানসভায় সরকার পক্ষের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জেলা বিভাজনের প্রয়োজনের ব্যাপারে আমরা সহমত। পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। বিরোধীরাও তা-ই চেয়েছিলেন। ঠিক হয়েছে, ওই চার জেলায় জেলাশাসকরা সর্বদল বৈঠক করবেন। তাতে যে প্রস্তাব উঠে আসবে তা বিবেচনা করা হবে। বিরোধীদের প্রস্তাব মেনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে জেলার সর্বদলেও কোনও না কোনও মন্ত্রী থাকবেন।” বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও পার্থবাবুর সুরেই বলেন, “জেলা ভাগ নিয়ে জেলা স্তরে বৈঠক করে আবার আমরা রাজ্যস্তরে মিলিত হব।” বাম জমানায় পশ্চিম দিনাজপুর ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর হয়। তখন দক্ষিণ দিনাজপুরে উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিল না বলে অভিযোগ। এ বার তেমন অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। |
|
|
|
|
|