|
|
|
|
ঘোষণা বিধানসভায় |
বিদ্যুতে রাজনীতি চলবে না, বদলিও চালু করছেন মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অন্যতম অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিদ্যুতে রাজনীতির আখড়া এবং মৌরসি পাট্টা ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের নতুন সরকার। বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত শুক্রবার কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে বসে কোনও ভাবেই রাজনীতি করা চলবে না। নিছক হুঁশিয়ারি নয়। তাঁরা যে এই সিদ্ধান্ত কাজে করে দেখাতে চান, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ত্রী। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে যে-সব কর্মী ১৫-১৮ বছর ধরে একই জায়গায় রয়েছেন, তাঁদের পর্যায়ক্রমে বদলি করে দেওয়া হবে বলে শুক্রবার নিজের দফতরের বাজেটের জবাবি বক্তৃতায় ঘোষণা করেছেন মণীশবাবু।
কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্রেই বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর এই ঘোষণা যে নিছক কথার কথা নয়, তা বোঝাতে মণীশবাবু জিরাট সাবস্টেশনের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ৩১ জুলাই বেশি রাতে ওই সাবস্টেশনে কারেন্ট ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে যাওয়ায় গোটা কলকাতা পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। তার পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী নিজেই ওই সাবস্টেশন পরিদর্শনে যান। এ দিন তিনি বলেন, জিরাটের বিপর্যয়ের তদন্ত করে সেখানকার দুই ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্য দুই কর্মীকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই তিনি জানান, এ বার ধীরে ধীরে সব বিদ্যুৎকেন্দ্রেই বদলির ব্যবস্থা হবে।
জিরাট বা কসবা সাবস্টেশনে কোনও রকম বিভ্রাট ঘটলে কলকাতা যাতে কোনও ভাবে প্রভাবিত না-হয়, তার জন্য সিইএসসি-র বজবজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কিছু কারিগরি পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতায় লোডশেডিং কমাতে সিইএসি-র কিছু কারিগরি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। এই খাতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বলবে বলে মণীশবাবু জানান।
রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি ঠিকমতো উৎপাদন করলে এবং চুক্তি অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ পেলে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বিদ্যুৎ-সঙ্কট থাকবে না বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেন। তিনি জানান, বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কিছু কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। সাঁওতালডিহির ২৫০ মেগাওয়াটের নতুন ইউনিটটি উৎপাদন শুরু করে দেবে আগামী মাসেই। সাগরদিঘি চালু হয়ে যাবে ২০১২ সালে। আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে নতুন করে উৎপাদন শুরু হবে। শুধু মহানগরীর বিদ্যুৎ-সমস্যাতেই এ দিন থেমে থাকেননি মন্ত্রী। রাজ্যের অজস্র গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। মণীশবাবুর ঘোষণা, আগামী তিন বছরের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|