কীটনাশক পান করিয়ে এক ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নারায়ণচন্দ্র রায় (৫৫)। পুঞ্চা থানার বারমেশিয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি পুরুলিয়ার বোরো থানার খড়িদুয়ারাতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পিওন ছিলেন। পুলিশের কাছে নারায়ণবাবুর স্ত্রী কবিতা রায় অভিযোগ করেছেন, ওই ব্যাঙ্কেরই দুই কর্মী গত ১৬ অগস্ট তাঁর স্বামীকে মারধর করে ও কীটনাশক পান করিয়ে খুন করেন। কবিতাদেবীর অভিযোগ, “সেদিন স্বামী ফোন করে জানান, ওই দুই সহকর্মী তাঁকে মারধর করেছে। পরে, বাড়ি থেকে খড়িদুয়ারায় যাওয়ার পথে কুমারী নদীর সেতুর কাছে স্বামীকে বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে প্রথমে মানবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখান থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, দেহটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।
|
সিমলাপালের দিগবাড় গ্রামের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারধর করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন, তারাশঙ্কর দাস ও আদিত্য দুলে। দিগবাড় গ্রামেই তাঁদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে একটি পুকুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় সিপিএম নেতা নয়ন পাতর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আট জন জখম হন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “মাছ ধরা নিয়ে মারপিটের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের সন্ধান করা হচ্ছে।”
|
বাজ পড়ে দুই বালকের মৃত্যু হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ইন্দাস থানার শাসপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হল মিলন বাগদি (৭) ও নয়ন বাগদি (১১)। বাড়ি ওই গ্রামেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের লস্করদিঘির পাড়ে এ দিন বিকেলে স্থানীয় কিছু বালক-বালিকার সঙ্গে খেলছিল মিলন ও নয়ন। আচমকা বাজ পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দু’জনকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
মাওবাদী নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গণ মিলিশিয়ার সদস্য এক যুবককে গ্রেফতার করল সারেঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অরুণ বরাট। সারেঙ্গা থানার শালুকা গ্রামে তাঁর বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে সারেঙ্গার গোবিন্দপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সুপার প্রণব কুমারের দাবি, “ধৃত গণমিলিশিয়ার সদস্য। গত বছরের জানুয়ারিতে সারেঙ্গার তাঁতিডাঙায় দুর্গাপুর-সারেঙ্গা রুটের একটি বেসরকারি বাসে ভাঙচুর ও লুঠপাটের পর আগুন লাগিয়েছিল মাওবাদীরা। ওই ঘটনা-সহ চুরি-ডাকাতিতেও যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন বছর ত্রিশের ওই যুবক। দিন কয়েক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। শুক্রবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে তাঁর পাঁচ দিন জেল হাজত হয়।
|
সিপিএম নেতার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী’কে মারধর করায় তৃণমূলের চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। ইন্দাসের চাঁদ গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় সিপিএম নেতা শেখ সিরাজের স্ত্রী মুসিনা বেগমকে বুধবার সকালে গ্রামের রাস্তায় তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজ ইন্দাস থানায় তৃণমূল কর্মী লাল্টু মোল্লা সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। |