|
|
|
|
কাশীপুরে সেতু তৈরিতে দুর্নীতির নালিশ কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাশীপুর |
সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছেএই অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক স্তরে তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক আবিদ হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুর ব্লকের কাপিষ্ঠা গ্রামের কাছে দ্বারকেশ্বর নদের উপরে সেতু নির্মাণ করছে কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি। কাশীপুর-বাঁকুড়া রাস্তার উপরে সেতুটি বেহাল হয়ে পড়ায় বছর পাঁচেক আগে পাশেই একটি নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সুপারভাইজার নিয়োগ করে কাজ করালেও নির্মাণে আর্থিক সাহায্য করেছে জেলা পরিষদ। এই সেতু নির্মাণে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, সেতুটি নির্মাণের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রায় ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা মিলেছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের অভিযোগ, যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে, সেই অনুপাতে কাজ হয়নি। তাদের দাবি, সেতুটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগই খরচ হয়ে গিয়েছে। অথচ সেতুর পিলার নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। এ ছাড়া, নদী থেকে জল তোলার জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে বলে নথিতে দেখানো হয়েছে, তা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের কাশীপুর অঞ্চল সভাপতি স্বপন চৌধুরীর অভিযোগ, “গত বছর অনাবৃষ্টির জন্য খরা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। নদীতে জল ছিল না। অথচ জল তোলার জন্য ৬ লক্ষ টাকার তেল পুড়েছে। এ ছাড়া, নদীর বালি তোলা ও মাটি কাটার জন্য দেড় লক্ষাধিক টাকার সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে কাজ চললেও সেতুটি নির্মাণ হয়নি।” সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যনারায়ণ বাউরি বলেন, “অভিযোগ করতেই পারে। প্রশাসন তদন্ত করলে সত্য প্রমাণিত হবে।” তাঁর দাবি, “যে পরিমাণ অর্থ এখনও পর্যন্ত সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে, তাতে সেতুটির কাঠামো গড়া ছাড়া সিমেন্ট, রড কেনা হয়েছে। ওই সরঞ্জাম এখনও ব্যবহার করা হয়নি। ফলে খরচ হওয়া অর্থে পরিমাণ মতো কাজ না হওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।” |
|
|
|
|
|