ঝালদায় অভিযোগ পার্শ্বশিক্ষিকার
পঞ্চায়েত সদস্যা সই না করায় বেতন নেই ৭ মাস
কাজে যোগ দেওয়ার সাত মাস পরেও বেতন না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ঝালদার একটি প্রাথমিক স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষিকা। শেফালি মাহাতো নামের ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক কারণে’ তাঁর বেতন সংক্রান্ত নথিতে সই করছেন না সংশ্লিষ্ট গ্রামশিক্ষা কমিটির সভাপতি তথা সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দিলীপকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকা যাতে দ্রুত বেতন পান, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঝালদা ২ ব্লকের নোয়াহাতু পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উকমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পার্শ্বশিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন উকমা গ্রামেরই বাসিন্দা শেফালিদেবী। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিকের নির্দেশ অনুযায়ী ঝালদা ২ ব্লকের অবর স্কুল পরিদর্শকের কাছে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে তিনি স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। এর পরে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি বেতন পাননি।
নিয়ম অনুযায়ী পার্শ্বশিক্ষকের বেতন সংক্রান্ত নথিতে গ্রামশিক্ষা কমিটির সভাপতি এবং কমিটির সচিব তথা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সই করতে হবে। শেফালিদেবীর অভিযোগ, কমিটির সভাপতি তথা সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যা রিনা মিশ্র সই না করায় তিনি বেতন পাচ্ছেন না। উকমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরিবোল কুমারও জানিয়েছেন, বেতন সংক্রান্ত নথিতে তাঁর সই থাকলেও রিনাদেবীর সই না থাকায় শেফালিদেবীকে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “আমি নিজে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে নথি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি স্বাক্ষর করতে না চাওয়ায় সমস্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজয় বসু বলেন, “অভিযোগ পেয়ে গ্রামশিক্ষা কমিটির সভাপতির কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে সদুত্তর পাইনি। প্রয়োজনীয় রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি।” শেফালিদেবীর বাবা নুনারাম মাহাতোর অভিযোগ, তাঁরা কংগ্রেস সমর্থক হওয়ায় ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবে তাঁর মেয়েকে ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শুক্রবার বহুবার চেষ্টা করেও রিনাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই এলাকায় দলীয় সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ভীম কুমার বলেছেন, “রাজনৈতিক কারণে এ ভাবে কাউকে হেনস্থা করাটা কখনওই আমরা সমর্থন করি না। ঘটনাটি শুনেছি। ওই শিক্ষিকা যাতে দ্রুত বেতন পান, সে ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করব।” অতিরিক্ত জেলাশাসকের বক্তব্য, “ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই পঞ্চায়েত সদস্যা ইচ্ছাকৃত ভাবেই সই করছেন না। আমরা বিষয়টি নিয়ে একবার শুনানিও করেছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যা অনুপস্থিত থাকায় সমস্যা মেটানো যায়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.