|
|
|
|
সিউড়ি পুরসভা |
দলত্যাগী দুই পুরপিতার সদস্যপদ খারিজের আবেদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
সিউড়ি পুরসভায় কংগ্রেসের টিকিটে জেতা দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী পশ্চিমবঙ্গ পুরআইন অনুযায়ী জেলাশাসকের কাছে শুক্রবার অভিযোগ জানিয়েছেন পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের নেতা তপন শুকুল।
যে দুই নেতার নামে অভিযোগ হয়েছে, তাঁদের এক জন হলেন খোদ সিউড়ির উপ-পুরপ্রধান তথা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। অন্য জন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবনাথ ধীবর। কংগ্রেসের সিউড়ি শহর সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দিন তপনবাবু জেলাশাসকের কাছে ওই দুই কাউন্সিলরের সদস্য পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন।” এই আবেদন ও অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “ওই অভিযোগপত্র হাতে পাইনি। সেটি হাতে পেলে খতিয়ে দেখে পুরআইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি পুরসভার মোট আসন ১৮। তৃণমূল ৮, কংগ্রেস ৬, বামফ্রন্ট ২, নির্দল ২। দুই নির্দলের মধ্যে এক জন হলেন পুরপ্রধান নিজেই। এবং তিনি আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পুরপ্রধান বলেন, “পুরআইন অনুযায়ী দলীয় কাউন্সিলরদের এক তৃতীয়াংশ যদি দল ত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দেন তা হলে তাঁরা দলত্যাগ বিরোধী আইনের মধ্যে পড়েন না। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ৬ সদস্যের মধ্যে দু’জন (উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও দেবনাথ ধীবর) একসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।” উপপুরপ্রধান বলেন, “আমরা ৩১ জানুয়ারি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিই। ৬ সদস্যের মধ্যে দু’জন মানেই এক তৃতীয়াংশ। ফলে আমাদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোয্য নয়।” দল ছাড়া প্রশ্নে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণেই কংগ্রেস ছেড়েছি।” অন্য দিকে, চঞ্চলবাবুর দাবি, “বামফ্রন্টের দুই সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় পুরসভায় আমাদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। ফলে যে দু’জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা কোনও মতেই আনাদের সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হচ্ছেন না। সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’’ পুরপ্রধান পাল্টা দাবি করেন, “ওই দুই কাউন্সিলর কংগ্রেস ছাড়ার পরে বামফ্রন্টের দুই সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন।” |
|
|
|
|
|