|
|
|
|
খোলামুখ কয়লাখনি ঘিরে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে খোলামুখ কয়লাখনির জন্য দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে ওই সংস্থার জয়দেব-খাগড়া প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এলাকার একটা বড় অংশ জমি মালিক, বর্গাদার, পাট্টাদারদের নামে সঠিক ভাবে জমি নথিভুক্ত হয়নি। এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ জমিদাতা এবং খেতমজুরদের কী ভাবে দেওয়া হবে। তাই শুক্রবার সারাভারত কৃষকসভার পক্ষ থেকে দুবরাজপুরের বিডিও, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ওই বেসরকারি সংস্থার জয়দেব-খাগড়া প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জকে স্মারকলিপি দিয়েছে।
কৃষকসভার অভিযোগ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষে শিল্প স্থাপনে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে বর্গাদার, পাট্টাদারদের নামে জমি নথিভুক্ত করতে হবে। সেটা না হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নেয়নি ব্লকভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং ওই বেসরকারি সংস্থা। শুধু তাই নয়, ভূমিহীন খেতমজুর, মৎস্যজীবীদেরকেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেটা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ওই সংস্থা। এমনকী পলাশডাঙাচক, দেবীপুর চকের সম্পূর্ণ জমি না নিয়ে আংশিক ভাবে অধিগ্রহণ করছে ওই সংস্থা। সেটা মানা সম্ভব নয়।
কৃষকসভার পক্ষে দুবরাজপুর ব্লক সম্পাদক হায়দার হোসেনের দাবি, “আমরা চাই কাজ ত্বরান্বিত হোক। বর্গাদার, পাট্টাদারদের জমির কাগজপত্র ঠিক করার পাশাপাশি ভূমিহীন খেতমজুর, মৎস্যজীবীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়টিও গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হোক।” প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “কৃষকসভার পক্ষে যে সব দাবি তোলা হয়েছে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোম্পানি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাকি দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।” অন্য দিকে, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অমিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে সব জমি অধিগৃহীত হবে তার মালিক, বর্গাদার, পাট্টাদারদের জমির রেকর্ড তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। কিছু লোককে সে কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে সেটা করা উচিত ছিল। পরিকাঠামোগত কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।” ওই সব কাজ করার জন্য কৃষকসভার পক্ষে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে কাজ না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|