বোনের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া এক প্রৌঢ় প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার রামেশ্বরকুড়ে গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত বারিকের কোথাও হদিশ না পেয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তাঁর পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায়, পঞ্চাশোর্ধ্ব জয়ন্তবাবু পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী নিতু বারিক, ১৫ বছরের মেয়ে শিল্পা ও ১৩ বছরের ছেলে কুশল রয়েছে। জয়ন্তবাবুর ভাই হেমন্তবাবু জানান, ঘাটালে তাঁদের ছোট বোনের শ্বশুর বাড়ি। সেখানে যাওয়ার জন্য ২২ জুলাই জয়ন্তবাবু বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। হেমন্তবাবু বলেন, “দাদা যাওয়ার কয়েক দিন পরে বোনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পাই, দাদা সেখানে যায়নি। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও দাদার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে দাদার নামে নিখোঁজের ডায়েরি করি। কিন্তু, পুলিশও তাঁর কোনও খবর দিতে পারেনি।” স্বামীর খবর না পেয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী নিতু দেবী। তিনি বলেন, “আমার স্বামী কোথায় যে গেল কিছু বুঝতে পারছি না। এখন পুলিশই ভরসা। পারলে ওরাই স্বামীকে ফিরিয়ে আনবে।” পুলিশ জানিয়েছে, জয়ন্তবাবুর সন্ধানে বিভিন্ন থানায় খোঁজ করা হচ্ছে। তবে, তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায় নি।
|
প্রাথমিক স্কুলে পঠনপাঠনের মানোন্নয়ন, সংস্কৃতি চর্চা, পরিকাঠামো প্রভৃতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ বার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন দীনবন্ধু চৌধুরী। তিনি বর্তমানে বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের পিছিয়েপড়া এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় করিমপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নলহাটিতেই তাঁর বাড়ি। ওই স্কুলে তিনি ২০০৭ সাল থেকে রয়েছেন। এর আগে অবশ্য তিনি ওই স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে ২০০২ সাল থেকে ওই ব্লকেরই পানিঠা প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক হয়ে যোগ দেওয়ার পরে ফের পুরনো স্কুলে প্রধান শিক্ষক হন। দীনবন্ধুবাবুর পরিচালনায় করিমপুর প্রাথমিক স্কুলের পরিবেশ দেখে খুশি হয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গৌতম ঘোষ। তিনি বলেছেন, “একটি অনুষ্ঠানে ওই স্কুলে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।” বর্তমান সংসদের সভাপতি রাজা ঘোষের দাবি, “এই বছর রাজ্যের মধ্যে একমাত্র দীনবন্ধুবাবুই প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত। তাঁকে আমরাও সংবর্ধনা দেব।” দীনবন্ধুবাবুর প্রতিক্রিয়া, “এ পুরস্কার দেওয়ার জন্য আমার নাম নির্বাচন করায় ভাল লাগছে। এই স্কুলের সার্বিক উন্নতির জন্য গ্রামবাসীরা তথা অভিভাবকেরা অকুণ্ঠ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাহায্য এবং প্রশ্রয় পেয়েছিল আমার দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছ থেকে।”
|
প্রায় দু’বছর ধরে সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষেরা। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। স্বভাবিক ভাবেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বোলপুর থানার বড়ডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। গ্রামটি সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গ্রামবাসী গনি মাজি, ফুলেশ্বরী মালরা বলেন, “বিধবা ভাতার জন্য আমরা বহুবার পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও এক কারণে আমরা টাকা পাচ্ছি না।” শঙ্করী কোনার বলেন, “চল্লিশ বছর থেকে বিধবা ভাতা পাওয়ার কথা। ষাট পেরিয়ে গেলেও ভাতা পাচ্ছি না।” পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের ভানু মাজি বলেন, “নিয়ম মেনে বিধবা, বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক কিছু সমস্যার জন্য কয়েক জন টাকা পাচ্ছেন না। আমরা ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।” বোলপুরের বিডিও অমল সাহা বলেন, “আমরা অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। সম্প্রতি সহায় প্রকল্পের মাধ্যমে ওই গ্রামে প্রাপকদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী কারণে অনেকে ভাতা পাচ্ছেন না বা নাম ওঠেনি মহকুমাশাসক দেবাশিস নন্দীর নির্দেশে খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |