|
|
|
|
জগদ্দলে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগদ্দল |
দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তাকে ভোজালির কোপ মেরে ডাকাতি করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের শ্যামনগর আদর্শপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সওয়া ২টো নাগাদ প্রায় দশজনের ডাকাত দলটি হানা দেয় শ্যামলকান্তি সিংহের বাড়িতে। একতলায় ঘরে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিলেন শ্যামলবাবু। দুষ্কৃতীদের মধ্যে সাত-আটজন সদর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তারা টাকা ও গয়না বের করতে বলে। শ্যামলবাবু প্রতিবাদ করলে এক দুষ্কৃতী তাঁর বাঁ হাতে ভোজালি দিয়ে কোপ মারে। স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কাঁদতে থাকেন স্ত্রী সোনালিদেবী। দুষ্কৃতীরা আলমারির চাবি কেড়ে নেয় তাঁর কাছ থেকে। মেয়ের গা থেকেও গয়না খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। আলমারি, দেরাজ থেকে টাকা ও জিনিসপত্র নেওয়ার পরে বিছানার ভিতরে রাখা গয়নার বাক্সটিও বের করে নেয় তারা। সোনালিদেবীকে মারধরও করে। এমনকী পুলিশকে জানালে খুনের হুমকিও দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। |
|
-নিজস্ব চিত্র। |
প্রেসিডেন্সি কলেজের কর্মী শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘দরজায় আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। বিছানা থেকে ওঠার চেষ্টা করতেই মাথার কাছে জানালা দিয়ে কেউ বলে চুপ করে থাক। নইলে গুলি করে দেব। মুখ বাঁধা থাকলেও গলার আওয়াজ শুনে মনে হল বয়স আঠারো-ঊনিশের মধ্যে। হাতে ধরা আগ্নেয়াস্ত্র আমার দিকেই তাক করা ছিল।’’
তিনি জানান, সদর দরজার তালা ভাঙার পরে দুষ্কৃতীরা শোওয়ার ঘরের দরজা খোলা থাকায় সটান ঢুকে পড়ে। তারপর কাজ হাসিল করে আবার সদর দরজা দিয়েই বেরিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা বাংলাতেই কথা বলছিল। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডাকাতির অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। তদন্তের জন্য কোনও সূত্র শ্যামলবাবু বা তাঁদের প্রতিবেশীরা দিলে তা আমরা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি। আশপাশের থানাগুলোকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দুষ্কৃতীরা খুব শিগগিরই ধরা পড়ে যাবে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবুরা বছর খানেক হল এই পাড়ায় নতুন বাড়ি করেছেন। পাশেই আরেকটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে মিস্ত্রিরা কিছুদিন আগেও কাজ করছিলেন। তাঁরা কাজের জন্য শ্যামলবাবুদের বাড়ি থেকে জল নিতে যেতেন। এই ডাকাতির সঙ্গে তাঁদের যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|