টুকরো খবর

হরিপুর: ‘আশঙ্কা’ কাটাতে বসতে তৈরি আমেরিকা
কোনও রাজ্যের কোথাও পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হবে কি না, তা সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার হরিপুরে প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প খারিজের সিদ্ধান্তটি প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল হয়েই নিয়েছে বলে আমেরিকা আশা করে। পাশাপাশি পরমাণু বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও আশঙ্কা থাকলে সে বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের আলোচনার পথও খোলা রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন মার্কিন কনসাল জেনারেল ডিন আর টমসন। গত বুধবার বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বিধানসভায় হরিপুর প্রকল্প বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, নতুন সরকার রাজ্যের কোথাও কোনও পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে দেবে না। এ দিন কলকাতায় আমেরিকান চেম্বার অফ কমাস-এর অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গটি ওঠে। বিশেষত ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির প্রেক্ষিতে হরিপুর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে টমসন বলেন, “এটা সরকারের ব্যাপার। আশা করি, প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে পরমাণু বিদ্যুৎ নিয়ে রাজ্যের উদ্বেগ থাকলে কাটাতে আমরা আলোচনা করতে পারি।” তাঁর আশ্বাস, দরকারে সংশ্লিষ্ট মার্কিন সংস্থাগুলো এই সংক্রান্ত তথ্য রাজ্যকে জোগাবে। হরিপুরের প্রস্তাবিত প্রকল্পে সরকারি সিলমোহর পড়েছিল ২০০৯-এর শেষে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের রাশিয়া সফরে। কিন্তু প্রকল্পটিকে ঘিরে গোড়া থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। মূলত জমি হারানোর আশঙ্কায় স্থানীয় মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রস্তাবিত ১০০ ভাগ কেন্দ্রীয় প্রকল্পটিকে বামফ্রন্ট সরকার অনুমোদন দেওয়ায় সেই আন্দোলনে শরিক হয় তৃণমূলও। এ দিন টমসন জানান, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা ও পর্যটনে বিভিন্ন মার্কিন সংস্থা লগ্নিতে আগ্রহী।

বিদ্যুতের আরও ৪টি সাবস্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত
পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নতুন চারটি সাবস্টেশন গড়ার পরিকল্পনা নিল জেলা বিদ্যুৎ দফতর। প্রাথমিক ভাবে জায়গা চিহ্নিত করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় জানান, ভগবানপুর-২ ব্লকের বাজকুলে ১৩২ কেভি ক্ষমতার একটি সাবস্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মহিষাদলের গেঁওখালি, পাঁশকুড়ার শ্যামসুন্দপুর-পাটনা ও এগরা-২ ব্লকের চোরপালিয়ায় ৩৩ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন সাবস্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় জেলায় নিবিড় বিদ্যুদয়নের কাজ চলছে। প্রতি বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে জেলায় আটটি সাবস্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬টির কাজ শুরু হয়ে গেলেও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে দু’টি জায়গায় কাজ শুরু করা যায়নি। বিদ্যুদয়ন ও সাবস্টেশন তৈরির কাজের অগ্রগতি নিয়ে বুধবার জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ স্থায়ী সমিতির বৈঠক হয়। বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপনবাবু বলেন, “ওই দু’টি জায়গায় জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জমির দরদাম নিয়ে সহমতে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। আরও চারটি জায়গা চিহ্নিত করে সাবস্টেশন তৈরির প্রস্তাব বিদ্যুৎ দফতরে পাঠানো হয়েছে।”

টেঙ্গুয়া সেতুর কাজ শেষ করতে উদ্যোগ
মাঝপথে বন্ধ হওয়া নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া খালের উপরে পাকা সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করতে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করল পূর্ত দফতর। ওই সেতুর কাজ শেষ করতে ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে পূর্ত দফতর। প্রায় দু’বছর পরে এই কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম থেকে মহিষাদলগামী তেরপেক্ষ্যা পর্যন্ত পাকা সড়কে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া বাজারের কাছে খালের উপর থাকা লোহার কাঠামোর সেতুটি কয়েক বছর আগে ভেঙে পড়েছিল। সেতু ভেঙে যাওয়ায় ওই পাকা সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অস্থায়ী ভাবে কাঠের সেতু তৈরি করা হয় অন্য যানবাহন চলার জন্য। বর্তমানে ওই কাঠের সেতুও ভগ্নপ্রায়। সেতু ভাঙার পরেই টেঙ্গুয়া খালে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য পূর্ত দফতর টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছিল। কিন্তু ওই ঠিকাদার সংস্থা বছর তিনেক আগে কাজ শুরু করলেও মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান জানান, “টেঙ্গুয়ায় সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় পূর্ত দফতর প্রথমে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে। ওই সেতু নির্মাণের বাকি কাজ সম্পূর্ণ করতে পূর্ত দফতর পুনরায় টাকা বরাদ্দ করেছে। নতুন ঠিকাদারও নিয়োগ করা করেছে। দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম থেকে চণ্ডীপুর পর্যন্ত পাকা সড়ক তৈরির আগে তেরপেক্ষ্যা পর্যন্ত এই পাকা সড়ক দিয়েই মূল যোগাযোগের রাস্তা ছিল।

শুঁটকিতে ‘বিষ’, নজরদারির উদ্যোগ
কাঁথি উপকূলে শুঁটকি মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নজরদারি চালাবে পঞ্চায়েত ও মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিক বলেন, “পঞ্চায়েত ও মৎস্য দফতর যৌথ ভাবে সচেতনতা শিবির করবে। বিষাক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের কুফল ও ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরতে লিফলেটও বিলি করা হবে। এর পরেও কেউ শুঁটকি তৈরিতে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শুঁটকি ছাড়াও উপকূল এলাকার ৪২টি মৎস্যখটির জন্য জমি লিজ বা পাট্টা দেওয়া নিয়েও স্থায়ী সমিতির সভায় আলোচনা হয়। মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “ওই ৪২টি খটি মৎস্য দফতর, বন দফতর বা সরকারি খাস জায়গায় থাকলেও খটিগুলির নামে জায়গা না থাকায় তার সার্বিক উন্নতি হচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিঘায় বৈঠক হবে।

মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার দুই ছাত্র গেল জেলহাজতে
মাদক-কাণ্ডে ধৃত দুই স্কুল ছাত্রকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত। নিচু ক্লাসের ছাত্রীদের মাদক মেশানো জল খাওয়ানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের এক স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র স্বার্ণব বাগচি ও কৌশিক শেঠকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্কুলের টিচার ইন চার্জের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত ওই দু’জনকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক শেখ মহম্মদ রেজ্জা। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে নবীন বরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন মাদক মেশানো জল পান করে নেশা করেছিল ওই দুই ছাত্র। স্কুলের সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রীকেও তারা ওই জল খাওয়ায়। এরপরই দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা হয় ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে। অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ ঝাড়গ্রাম থানায় ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্র জানিয়েছে, ঘুমের ওষুধ খেয়েই তারা নেশা করেছিল। তবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ তারা কোত্থেকে পেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্লাবিত রামনগরের গ্রাম
সুবর্ণরেখার জলে প্লাবিত হল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-১ ব্লকের বাধিয়া পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম। বিডিও রানা বিশ্বাস জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বর্ষণ ও ওড়িশার জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাণ্ডগ্রাম, কচুয়া, বারবাটিয়া, উত্তরবাধিয়া, বাখারপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুবর্ণরেখা উপচে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় আঠারোশো মানুষ। এলাকায় প্রায় ৬০টি কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কৃষিকাজেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গতদের ব্লক প্রশাসনের তরফে ত্রিপল, চাল, আলু দেওয়া হয়েছে।

খেজুরিতে ‘রিসটর্’ জেলা পরিষদের
খেজুরির ইড়িঞ্চি বাগানে ৫০ লক্ষ নারকেল গাছের চারা লাগাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও রিসর্টও তৈরি করা হবে। শুক্রবার ইড়িঞ্চি বাগানে জেলা পরিষদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। তিনি বলেন, “একশো দিনের কাজ, কৃষি, মৎস্য, উদ্যানপালন দফতর ও জেলা পরিষদের টাকায় এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। ব্যয় হবে প্রায় এক কোটি টাকা। দিঘা, মন্দারমণিতে আসা পর্যটকদের জন্য একটি রিসর্টও তৈরি করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।”

স্কুলে জয়ী তৃণমূল

পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাই জুনিয়ার হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৩টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.