পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে বদলি করা হল পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মহাকাশ চৌধুরীকে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি ছিল তাঁর। দু’দফায় তিনি সুশান্ত ঘোষের খাসতালুক গড়বেতা থানার ওসি ছিলেন।
এ বারের নির্বাচনের সময়েও গড়বেতা থানার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ বারও সেই এলাকা থেকেই জিতে বিধায়ক হন সুশান্তবাবু। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই গড়বেতা থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মহাকাশবাবুকে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীন ত্রিপাঠি বলেন, “এই অফিসারকে নিয়ে ওই এলাকায় (গড়বেতায়) কিছু অসন্তোষের খবর আসছিল। তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।” |
হাড়গোড় উদ্ধার হয়। ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গড়বেতাতেই গণহত্যার ঘটনা ঘটে। জড়িয়ে পড়ে সুশান্ত ঘোষের নাম। সেই সময়েও গড়বেতা থানার দায়িত্বে ছিলেন এই মহাকাশবাবুই। যে এলাকা থেকে এতদিন বাদে সেই হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে, সেই বেনাচাপড়া গড়বেতা থানা এলাকাতেই পড়ে।
সিআইডি সূত্রে খবর, হাড়গোড় কাণ্ডের তদন্তেও উঠে এসেছে মহাকাশবাবুর নাম। এর মধ্যে কলকাতার ভবানীভবনে তাঁকে ডেকে পাঠান সিআইডি-র ডিজি ভি ভি থাম্বিও। কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। তার পরেই তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর হিসাবে মহাকাশবাবু চাকরি জীবন শুরুই করেছিলেন গড়বেতা থানায়। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সুশান্তবাবুর।
মহাকাশবাবুর পরিবারের সঙ্গেও সিপিএমের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। তাঁর বাবা গুণাধার চৌধুরী বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদকণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এর মাঝে দু’টি নির্বাচনের সময়ে তাঁকে ‘নিয়মমাফিক’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে বদলি হতে হয়েছে। দু’বারই অবশ্য পাশের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। |