|
|
|
|
মারধর করে বন্ধ বনসৃজনের কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
জমির দখল নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এক সিপিএম নেতাকে মারধর করে ১০০ দিনের প্রকল্পে বনসৃজনের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এগরা ১ ব্লকের জেড়থান পঞ্চায়েতের বেনাচাকড়ি বুথে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের লোকেরা স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সচিব তথা সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য অশ্বিনী জানা ও পরেশ দাস নামে এক সিপিএম সমর্থককে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অশ্বিনীবাবুর বাবা। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন সিপিএম সমর্থকেরা। শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আলোচনায় সমস্যা মেটে।
জেড়থান পঞ্চায়েতটি তৃণমূল পরিচালিত। বেনাচাকড়ি বুথের একটি খাসজমিতে বনসৃজন প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছিল পঞ্চায়েতই। স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সচিব অশ্বিনী দাসের নেতৃত্বে কাজ করছিলেন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক। কিন্তু ওই জমির দখল নিয়ে বিরোধ বাধে তৃণমূলের সঙ্গে। যদিও ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “গত দু’তিন দশক ধরে ওই জমি দখলে রেখেছে কিছু ভূমিহীন পরিবার। ওই জমিতে সব্জি ও ফল চাষ করে তারা। সিপিএমই একসময় বসিয়েছিল তাদের। তবে, পাট্টা দেয়নি। অধিকাংশ পরিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আক্রোশবশত ওই জমিতে বনসৃজনের কাজে নেমেছিলেন সিপিএম নেতা। তাতে বাধা দেয় ভূমিহীন পরিবারগুলি।” সিপিএমের কুদি লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বাদল গিরি অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের পঞ্চায়েতই ওই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। তাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ওরা কাজে বাধা দিল।” শুক্রবার পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরে ঠিক হয়, আপাতত বিতর্কিত ওই জমি বাদ দিয়েই বনসৃজনের কাজ হবে। |
|
|
|
|
|