|
|
|
|
ভিডিও সম্মেলন চিদম্বরমের |
পশ্চিমের উন্নয়নে আরও ২০ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পিছিয়ে পড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নে আরও ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেশের অনুন্নত ৬০টি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের ভিডিও সম্মেলন ছিল। সেখানেই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি)-এ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পে বরাদ্দ টাকার ৯০ শতাংশেরও বেশি খরচ করার নির্দেশ দেন তিনি।
যে উন্নয়ন চোখে দেখা যাবে, তেমনই কাজ করার নির্দেশ রয়েছে আইএপি-তে। এই প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গত বছর ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। চলতি বছরের গোড়ায় আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে প্রশাসন। ৬৪৩টি প্রকল্পের মধ্যে ৫২৬টি প্রকল্প শেষ করতে পেরেছে। কোথাও কাজ চলছে, কোথাও আবার কাজ শুরুই করা যায়নি। এরই মধ্যে আরও ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হল। ডিসেম্বরের মধ্যে তার ৯০ শতাংশের বেশি ব্যয় করাটাই এখন প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ। আইএপি ছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জেলা জুড়ে উন্নয়নের যে সব কাজ চলছে, এ দিনের ভিডিও সম্মেলনে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষমেশ শুধু আইএপি নিয়েই কথা হয়। শীঘ্রই পিছিয়ে পড়া ৬০টি জেলার প্রতিনিধিদের ভিডিও সম্মেলন হবে বলেও জানিয়েছেন চিদম্বরম। সেই ভিডিও সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ নিজে। এই জেলায় অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজের হাল খুব একটা ভাল নয়। বিশেষত স্বাস্থ্য, ইন্দিরা আবাস ও একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ টাকার অধিকাংশই পড়ে রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে ‘ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনে’ কেন্দ্র জেলাকে ২৬ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থাৎ মাত্র ২৪.৬৯ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতর। ইন্দিরা আবাস যোজনায় বরাদ্দ ৩৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে ১১ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ। আর একশো দিনের কাজে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে সাড়ে ৫৪ কোটি অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অবশ্য প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। ৪১৯ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যে ৩১৪ কোটি কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। সর্বশিক্ষাতেও খরচ হয়েছে ৫০ শতাংশ অর্থ। বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে ২৫ কোটি ব্যয় করা গিয়েছে। তবে সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা খরচের ছবিটা খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়। |
|
|
|
|
|