আবহটা তৈরি হয়েছিল চব্বিশ ঘণ্টা আগে থেকেই। শুক্রবার সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়ে গেল। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে চাকরি গেল জাতীয় ট্যালেন্ট ম্যানেজার এবং পেশাদার নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেলের। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রশাসনের খোলনলচে বদলের জেরে চাকরি হারালেন প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ এবং রিকি পন্টিংদের কোচ টিম নিয়েলসেনও। অস্ট্রেলিয়ার চলতি শ্রীলঙ্কা সফরের শেষেই সরে দাঁড়াবেন নিয়েলসেন।
দোশের মাঠে গত অ্যাসেজে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে তৈরি হয় ‘ডন আর্গাস রিভিউ’। রিভিউয়ের প্রস্তাব মেনেই চ্যাপেল-হিলডিচদের সরানো হচ্ছে। হিলডিচের জায়গায় ‘ফুল-টাইম’ জাতীয় নির্বাচক নিয়োগ করা হবে। পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান হবেন তিনি। বাকি চার সদস্যের মধ্যে থাকবেন দু’জন স্বাধীন নির্বাচক, জাতীয় অধিনায়ক এবং কোচ। টিম পারফরম্যান্সের জেনারেল ম্যানেজার নামক একটি নতুন পদও তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যানেজারের দায়িত্ব হবে কোচিং, নির্বাচন এবং সেন্টার অব এক্সেলেন্স-এর দেখাশোনা করা। বোর্ডের সিইও-কে রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড বোর্ডে হিউ মরিস অনেকটা এই দায়িত্বেই রয়েছেন।
হিলডিচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “রিভিউ প্যানেলের প্রস্তাব আমি পুরোপুরি সমর্থন করি। প্যানেলের ইন্টারভিউতেও আমি এক কথা বলেছিলাম। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য এটাই সঠিক পদক্ষেপ।” অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও পল মার্শও এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। |