|
|
|
|
ধর্মঘট চলছে |
পুরকর্তাদের উদ্যোগে জঞ্জাল সাফাই শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আলোচনার মাধ্যমে সাফাই-কর্মীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো যাচ্ছে না দেখে মেদিনীপুরের পুরকর্তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সাফাই কাজের তদারকি শুরু করলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই হল রাস্তা পরিষ্কার, আবর্জনা সাফাই। শুক্রবার সকালে উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি স্কুলবাজার এলাকায় এসে সাফাইয়ের কাজ তদারকি করেন। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েক জন কাউন্সিলর। পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, একাংশ সাফাই কর্মী কাজ করতে চাইছেন। তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। উপপুরপ্রধান বলেন, “কর্মীদের কিছু দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু সে জন্য শহরের দু’লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাবেন না কেন? ধর্মঘটের ফলে শহরে জঞ্জালের স্তূপ জমছে।” তাঁর কথায়, “ইচ্ছুক কর্মীদের কাজ করতে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ বাধা দিতে পারেন না।” কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শহরের সর্বত্রই এ ভাবে সাফাইয়ের কাজ চলবে। কাউন্সিলররাই সাফাই-কাজের তদারকি করবেন। ধর্মঘটে সামিল হননি, এমন কর্মীরাই সাফাইয়ের কাজ করবেন। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
টানা ক’দিন ধরে শহরে ধর্মঘট চললেও আপাতত জট কাটার কোনও ইঙ্গিত নেই। কনজারভেন্সি শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির ডাকেই এই ধর্মঘট। কমিটির সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ন্যায্য দাবিতেই আন্দোলন চলছে।” অবশ্য ইতিমধ্যেই এই ধর্মঘটকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেছে পুরসভা। গত ৮ অগস্ট থেকে ধর্মঘটে সামিল হয়েছে কমিটি। সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে সমাধান-সূত্র মেলেনি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও অন্তত দু’জন করে কর্মী নেওয়া, বকেয়া মেটানো, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ন্যূনতম দৈনিক একশো টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া, আউটসোর্স বন্ধ-সহ কয়েক দফা দাবিতে কমিটির আন্দোলন। এ দিকে, প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট চলায় শহরে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। দুর্ভোগ বাড়ছে শহরবাসীর। কোথাও কোথাও ভ্যাট উপচে আবর্জনা নেমে এসেছে রাস্তায়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়েছে। আগেই একাধিক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজেদের উদ্যোগে কয়েকটি রাস্তায় সাফাইয়ে কাজ তদারকি করেছেন। শুক্রবার উপপুরপ্রধান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সাফাই কাজের তদারকি করেন। সাফাই চলাকালীন আন্দোলনরত কর্মীদের মিছিল ঘিরে স্কুলবাজার এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির অভিযোগ, এ ভাবে রাস্তা সাফাইয়ের কাজ শুরু করে পুর-কর্তৃপক্ষ সাফাই-কর্মীদের মধ্যে ‘বিভেদ’ তৈরি করতে চাইছেন। তবে সাফাই-কর্মীরা জোটবদ্ধ রয়েছেন। পুর-কতৃর্র্পক্ষের উদ্দেশ্য সফল হবে না। অন্য দিকে, পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এখন রমজান মাস চলছে। সামনে পুজো। এই সময়ে ধর্মঘট করে শহরবাসীকে দুর্ভোগে ফেলা উচিত নয়। অথচ, কমিটি সেই কাজই করছে। তাই বাধ্য হয়েই কাউন্সিলররা নিজেদের উদ্যোগে সাফাই কাজ শুরু করেছেন। |
|
|
|
|
|