বউমাকে খুনের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর চারেক আগে আরামবাগের মইগ্রামে বিয়ে হয়েছিল রুমা পণ্ডিতের (২৪)। অভিযোগ, বিয়ের এক বছর গড়াতে না গড়াতেই অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বসে রুমাদেবীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সেই টাকা দিতে না পারায় মারধর শুরু হয়। রুমাদেবীর মা আরতি রায়ের অভিযোগ, “বার বার মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দিত ওরা। মাস কয়েক আগে কোনও মতে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বাকি টাকাটা পরে দিয়ে দেব বলি। কিন্তু গত ১২ অগস্ট ওরা মেয়েকে ফের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি দিয়ে এসে আমরা বলেছিলাম, দিন দশেকের মধ্যে টাকা দিয়ে দেব।”আরতিদেবীর দাবি, ওই টাকা সময় মতো দিতে না পারাতেই রুমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদ্য সন্তানহারা মায়ের কথায়, “আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যাই করত, তা হলে অনেক আগেই করত পারত।” পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়িতেই রুমার ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ তা ময়না-তদন্তে পাঠায়। আরতিদেবী রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রুমার স্বামী আদিত্য পণ্ডিত, শ্বশুর মহাদেব পণ্ডিত-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। মহাদেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।
|
আরামবাগ-সহ খানাকুল ১ এবং ২ ব্লকে ভেঙে দেওয়া দলীয় কমিটি নতুন করে তৈরি করছে তৃণমূল। শুক্রবার ওই তিন ব্লক কমিটির সভাপতির নাম ঘোষণা করেন আরামবাগ মহকুমায় দলের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কমিটির চেয়ারম্যান তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আরামবাগে দলের সমর্থকেরা ক্রমেই তোলাবাজি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় প্রমাদ গোনেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। এর পরেই আরামবাগ মহকুমাকে সাংগঠনিক ভাবে একটি আলাদা জেলা বলে ঠিক করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানকার সংগঠন দেখার কাজে তপন মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গঠিত হয়। ভেঙে দেওয়া হয় আরামবাগ মহকুমায় দলের সমস্ত কমিটি। সেই কমিটিই এ বার নতুন করে গড়তে চলেছে। তপনবাবু বলেন, “আপাতত ব্লক সভাপতি ঠিক করা হল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটির অন্য সদস্যদের নাম ঠিক করা হবে।” তপনবাবু শুক্রবার জানান, পুড়শুড়া এবং গোঘাটের দু’টি ব্লকের কমিটি পরে গঠন করা হবে। দলের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠনের কমিটিও শীঘ্রই ঠিক করা হবে।
|
ক্যাম্পাসে নিত্য মারামারি ঠেকাতে তিন বছর আগেই ছাত্র সংসদ তুলে দিয়েছিল শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (বেসু)। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের কথার্বাতা, অভাব-অভিযোগ জানানোর মতো একটা মঞ্চের অভাব অনুভূত হচ্ছিল। সেই চাহিদা মেটাতেই বেসুতে এ বার গড়ে তোলা হচ্ছে একটি অরাজনৈতিক ছাত্র সেনেট। বেসুর রেজিস্ট্রার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “গত তিন বছর ধরে যেহেতু এখানে ছাত্র সংসদ নেই, ছাত্রদের দাবিদাওয়া বা বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হচ্ছিল। ছাত্র নেতৃত্ব যাতে সুসংহত ভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন, সে জন্য একটা বিকল্প উপায়ের কথা ভাবা হচ্ছিল। সেখান থেকে এই সেনেট তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।” |