|
|
|
|
স্কুলভোটে সিপিএম-তৃণমূল আসন-রফা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মশাট |
সিপিএমের সঙ্গে আসন-সমঝোতা করে স্কুলভোটে লড়ছে তৃণমূল।
ঘটনাটি হুগলির মশাটের আপতাপ মিত্র উচ্চ বিদ্যালয়ের। আগামী ২৮ অগস্ট ওই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছে। ১৭ তারিখে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। সিপিএম এবং তৃণমূল দু’দলই ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ দিন সিপিএমের ৫ জন মনোনয়ন তুলে নেন। অন্য দিকে, তৃণমূলেরও এক জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। স্কুল সুত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আর ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পরিচালন কমিটি গড়তে চলেছে তৃণমূলই।
রাজ্যরাজনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হুগলি জেলার রাজনীতিতেও গত দু’বছরে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন হয়েছে। এই মূহূর্তে সিপিএম এখানে কার্যত কোণঠাসা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে আসন রফা সিপিএমের দিক থেকে অযৌক্তিক নয়। তবে, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
গত বারে এই স্কুলের পরিচালন সমিতির ক্ষমতা ছিল সিপিএমের হাতে। এর মধ্যে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে দু’দলই ৩টি করে আসন পেয়েছিল। তবে শিক্ষক প্রতিনিধি, অশিক্ষক প্রতিনিধি-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের ভোটে সিপিএম সমিতির দখল পায়। এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। তৃণমূল এবং সিপিএম সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ‘গোপন রফা’ হয়। তারই জেরে সিপিএমের ৫ জন এবং তৃণমূলের এক জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের অন্দরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে, প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না।
তৃণমূলের মশাট অঞ্চল সভাপতি অমরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছিলেন, স্কুলের তহবিলে অর্থের সঙ্কট রয়েছে। সে কারণে আমরা ভোট এড়াতে চেয়েছি। তা ছাড়া, রাজ্যের ক্ষেত্রে বিরোধী দলকে আমাদের দলনেত্রী যেমন মর্যাদা দিচ্ছেন, আমরাও একই কারণে সিপিএমের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করেছি। সবটাই হয়েছে দলের ভিতরে আলোচনা করে।”
এ বিষয়ে সিপিএমের চণ্ডীতলা ২ লোকাল কমিটির সদস্য আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা, গোলমাল হচ্ছে। এ সব আমরা এড়াতে চেয়েছি। তা ছাড়া, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্কও রয়েছে। সেই সব কারণেই একটা বোঝাপড়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|