|
|
|
|
ঝাড়খণ্ড |
বন্দি পালানোয় জেলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
দাগি মাওবাদী জঙ্গি ও ‘বিপজ্জনক’ দুষ্কৃতীতে ভর্তি ঝাড়খণ্ডের কারাগারগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আবার বড়-সড় প্রশ্ন উঠল। খোদ পুলিশ এবং কারাকর্তাদেরই আক্ষেপ, গুটিকয় কেন্দ্রীয় কারগার ছাড়া জেলার বা ছোট শহরের জেলগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারি আদৌ পর্যাপ্ত নয়। বুধবার সন্ধ্যায় জামশেদপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সরাইকেলা ডিভিশনাল জেল থেকে দুই মাওবাদী জঙ্গি-সহ ছ’জন বিচারাধীন বন্দির পলায়ন আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ‘নিরাপত্তার গলদ’ কতটা। ওই ঘটনায় জেলারকে সাসপেন্ড করা ছাড়াও পাঁচজন ওয়ার্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় সবাইকে বোকা বানিয়ে বুধবার পালিয়েছে ছ’জন বিচারাধীন বন্দি। পুলিশ জানায়, স্থানীয় আদালতে হাজিরার পরে জেলের সেলে ঢোকানোর সময়ে আচমকাই পকেট থেকে পিস্তল বার করে মাওবাদী সশস্ত্র স্কোয়াড সদস্য বলরাম সাহু ওরফে ডেভিড। খোদ অ্যাসিস্ট্যান্ট জেলার রমাশঙ্কর প্রসাদের পিঠে রিভলভার ঠেকিয়ে তাঁকে নিয়েই জেল থেকে বেরিয়ে যায় ছ’জন কয়েদি। বাইরে একটি বড় গাড়িতে উঠে পালানোর সময়ে জেলারকে ঠেলে ফেলে দেয় তারা। পুলিশ জানায়, ডেভিড ছাড়া আর এক জঙ্গি সোমরা হাঁসদা এবং আরও চার জন ধরা-পড়া দুষ্কৃতীও ওই সময় পালায়।
রাজ্য পুলিশে ডিজি গৌরীশঙ্কর রথ জেল পরিদর্শনে গিয়ে নিরাপত্তা ও ফেরার কয়েদিদের তল্লাশি নিয়ে স্থানীয় পুলিশকর্তা ও জেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিজি বলেন, “যে-ভাবে বাইরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে মসৃণ ভাবে কয়েদিরা পালিয়ে গিয়েছে, তাতে সব কিছুই পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে বলে পরিষ্কার। জেলকর্মীদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ-সাজশের বিষয়টিও চিন্তার।” ইতিমধ্যে এই ঘটনায় যোগেন্দ্র পাসোয়ান, উমাশঙ্কর মিশ্র ও টিগা বিরুয়া নামে তিন জেলকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করেছে। গত জানুয়ারিতে চাইবাসার জেল থেকে পালায় ঝাড়খণ্ড-ওড়িশায় কুখ্যাত তিন কট্টর মাওবাদী। এর পর জুন মাসে ‘চূড়ান্ত সুরক্ষিত’ বলে কথিত খাস রাঁচির হোটওয়ার জেলেও কয়েকজন কয়েদিকে বিষাক্ত খাবার খাইয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সরাইকেলার এসপি শ্রী অভিষেক অবশ্য শুধু নিরাপত্তা-ব্যবস্থার ত্রুটি ছাড়াও জেলকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।” |
|
|
|
|
|