|
|
|
|
করিমগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত সাত জঙ্গি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
আজ সকালে অসমের করিমগঞ্জে সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা পড়ল সাত জঙ্গি। গুলিতে গুরুতর ভাবে জখম হন সেনা বাহিনীর এক জওয়ান। শঙ্কর তরফদার নামে জখম ওই জওয়ানকে হেলিকপ্টারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সেনা হাসপাতালে। দু’ তরফের তুমুল লড়াইয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তিন জঙ্গি। পরে নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে পাওয়া যায় আরও চার জঙ্গির রক্তাক্ত মৃতদেহ। ধরা পড়েছে অস্ত্র-সহ এক জঙ্গি। রাতে সেনা সুত্রে জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য জখম জওয়ানকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও অবধি না জানা গেলেও পুলিশ ও সেনা বাহিনীর অনুমান, এরা ইউনাইটেড ডেমোক্রাটিক লিবারেশন আর্মির (ইউডিএলএফ) সদস্য।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানান, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার সীমানা এলাকার গ্রামগুলিতে গত কয়েকদিন ধরেই জঙ্গিরা ঘোরাঘুরি করছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই খবরের সূত্রেই কাল মধ্য রাত নাগাদ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। রাতাবাড়ি থানা এলাকার লালগনাইয়ে চারদিকে থেকে জঙ্গিদের ঘিরে ফেলেন জওয়ানেরা। ভোরবেলায় সেনাদের গতিবিধি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে দু’ তরফে। তিন জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে এ কে-৪৭, এ কে-৫৬ সিরিজের রাইফেল-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাগুলি ও গ্রেনেড।
যেখানে আজ গুলির লড়াই বাধে জঙ্গল ঘেরা সেই এলাকাটি একেবারেই প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। রাস্তা বলতে কিছু নেই। সব থেকে নিকটবর্তী পাকা সড়ক থেকে থেকে ওই এলাকায় পৌঁছতে আট ঘণ্টা লাগে। সন্ধ্যায় জানা যায়, এ দিন লড়াইয়ের সময় জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল চল্লিশের মতো। বাকিদের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন জেলার পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা-সহ পদস্থ পুলিশ ও সেনাকর্তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এই জঙ্গিরা ইউনাইটেড ডেমোক্রাটিক লিবারেশন আর্মির সদস্য। এই গোষ্ঠীটি মিজোরাম-অসম সীমানায় করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঘাঁটি গেড়ে অপহরণ, জোর করে টাকা আদায়এমন সব অপরাধমূলক কাজকর্ম চালায় বলে পুলিশের দাবি। |
|
|
|
|
|