|
|
|
|
খাপলাংদের ছাড়াই মৈত্রী বৈঠকে নাগারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এক দিকে তিন যুযুধান নাগা জঙ্গি সংগঠন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈঠকে বসতে চলেছে। অন্য দিকে, দুই প্রধান নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী সাফ জানিয়ে দিল, তারা শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হতে ইচ্ছুক নয়।
জুন মাসে এনএসসিএন খাপলাং গোষ্ঠী দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে। নাগাল্যান্ডের খেহয় সদর দফতরকে কেন্দ্র করে কন্যাক ও কিতোভি জিমোমির গোষ্ঠী কাজ চালাচ্ছে। খোদ খাপলাং রয়েছেন মায়ানমারে। তাঁর সঙ্গে বড় নেতা বলতে রয়েছেন খুঘালু মুলাতনু ও ওয়াংতিং কন্যাক। সেই খাপলাংরা সাফ জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির ‘হাতের পুতুল’ হয়ে এনএসসিএম (আইএম) ও কন্যাক-কিতোভি গোষ্ঠী নাগা স্বার্থ বিসর্জন দিতে চলেছেন। কিন্তু খাপলাংরা ভারত ও মায়ানমার সরকারের কাছ থেকে সার্বভৌম ও স্বাধীন নাগাল্যান্ড আদায় করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না।
কিতোভি খাপলাং গোষ্ঠী ছেড়ে দেওয়ার পরে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ খালি। সেই পদে নির্বাচনও হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে। মায়ানমারের কোনও জঙ্গলে, গোপন আস্তানায় এই নির্বাচন হবে। মুলাতনু জানান, একই সঙ্গে খাপলাং বাহিনীর সুরুহটো শিবির ও সীমান্ত এলাকায় খুলে-কিতোভি বাহিনীর আনাগোনা বেড়েছে। মন জেলাতেও চলছে উত্তেজনা। যে কোনও অবস্থায় তাদের নিজেদের মধ্যেই ‘যুদ্ধ’ বাধতে পারে। তাই, খাপলাংরা সশস্ত্র সৈন্য যোগাড় করতে ব্যস্ত।
খাপলাং-এর পাশাপাশি নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিল (অ্যাডিনো) জানিয়ে দিয়েছে, তারা শান্তি প্রক্রিয়া বা মৈত্রী বৈঠকে যোগ দেবে না।
এই অবস্থায়, কয়েক দিনের মধ্যে নাগাল্যান্ডে জঙ্গি সংগঠনগুলির যে মৈত্রী বৈঠক বসতে চলেছে সেখানে আইএম গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ইসাক চিশি সু ও সাধারণ সম্পাদক থুইংলেং মুইভা, খুলে কন্যাক এবং কিতোভি এবং এফজিএন সংগঠনের প্রধান এস সিংগন্যা ছাড়া বাকি নেতারা আসছেন না। মৈত্রী প্রক্রিয়ার অন্যতম হোতা, ‘ফেডারেশন ফর নাগা রিকনসিলিয়েশন’ (এফএনআর) নেতা এন বেনু জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৈত্রী বৈঠক বসানো হবে। সিংগন্যা ভারত-মায়ানমার সীমান্তের একটি ঘাঁটিতে থাকেন। দিন ঠিক হলে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আনা হতে পারে। ১৯৯৭ সালে থেকেই ভারত সরকার ও এনএসসিএন-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। |
|
|
|
|
|