|
|
|
|
সুশান্তর ফ্ল্যাট থেকে ‘উদ্ধার’ ৫ লক্ষাধিক টাকা, দাবি সিআইডির |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতায় সুশান্ত ঘোষের সরকারি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিআইডি দাবি করল। সিআইডি-র অভিযোগ, ওই টাকা কোথা থেকে এসেছে, তার কোনও ‘হিসেব নেই’। সেই কারণে এ দিন রাত এগারোটা নাগাদ দুর্নীতিদমন আইনের জামিন-অযোগ্য ধারায় সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন গোয়েন্দা-কর্তারা।
আজ, শনিবার সুশান্তবাবুকে মেদিনীপুর সি জে এম আদালতে হাজির করানো হবে, দ্বিতীয় দফায় সিআইডি-হেফাজতের চার দিনের মেয়াদ শেষে।
সিআইডি-র স্পেশ্যাল সুপার (পশ্চিম) হৃষিকেশ মিনা জানান, ২৪৭/১, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে মিন্টো পার্ক গভর্নমেন্ট হাউসিং এস্টেটে সুশান্ত ঘোষের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ দিন দুপুরে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। ওই গোয়েন্দা-কর্তার দাবি, “ওই ফ্ল্যাটে নগদ ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি মোবাইল সেট, ব্যাঙ্কের দু’টি পাশবই এবং সাতটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে। মোবাইল সেট তিনটি বন্ধ করা ছিল। সুশান্তবাবু বিভিন্ন সময়ে কোথায়, কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তা ডায়েরিগুলিতে লেখা রয়েছে।” |
|
সিল করা হচ্ছে ওই ফ্ল্যাটটি। নিজস্ব চিত্র |
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ সিআইডি-র এক ডিএসপি, এক ইনস্পেক্টর এবং দুই কনস্টেবল বন্ধ থাকা ওই ফ্ল্যাটের তালা খুলে তল্লাশি শুরু করেন। এর আগে ১৩ অগস্ট দুপুরে চাবি না পেয়ে ওই ফ্ল্যাটটি ‘সিল’ করে দিয়েছিলেন গোয়েন্দারাই। তল্লাশির সময়ে ওই আবাসনের এক নিরাপত্তা রক্ষী এবং এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে সাক্ষী হিসেবে সঙ্গে রাখা হয়। সরকারি আবাসনটি আলিপুর থানা এলাকায় হওয়ায় তল্লাশিতে সাহায্য করে সেখানকার পুলিশও। তল্লাশি চলাকালীন ফ্ল্যাটে পৌঁছন সিআইডি-র ওই স্পেশ্যাল সুপার। বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা তল্লাশি-অভিযানের পুরোটাই ‘ভিডিও-রেকর্ড’ করা হয়। গোয়েন্দারা দাবি করেন, ১০০, ৫০০ এবং ১,০০০-এর নোটে ওই টাকা ছিল আলমারিতে।
কী কারণে ওই টাকা হিসাব বহির্ভূত বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা? স্পেশ্যাল সুপারের বক্তব্য, “দুর্নীতিদমন আইন অনুযায়ী, ওই পরিমাণ টাকা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এক সঙ্গে রাখা যায় না।” তবে গোয়েন্দারা জানান, প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তবাবু যদি আদালতে প্রমাণ করতে পারেন, ওই টাকা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তা হলে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা তিনি ফেরত পাবেন।
সিআইডি-র দাবি, এ দিন ‘উদ্ধার’ হওয়া ডায়েরিগুলি প্রাথমিক ভাবে পড়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। গত তিন-চার বছরে সুশান্তবাবুর ‘গতিবিধি’র হদিস দেবে ওই সব ডায়েরি। ডায়েরিগুলিতে কার হাতের লেখা রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। সিআইডি-র হাতের লেখা পরীক্ষা বিভাগের কর্মীদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত’ হওয়া তিনটি মোবাইল চালু করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কোন সময়, কার-কার সঙ্গে কথা বলেছেন সুশান্তবাবু। |
|
|
|
|
|