|
|
|
|
| |
| পুলিশকে পচা ডিম ছুড়লেন বাম ছাত্ররা |
| নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিধানসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়াল বামপন্থী চারটি ছাত্র সংগঠন। পুলিশের বক্তব্য, বিধানসভা অভিযানের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলির মিছিল থেকে পুলিশের দিকে পচা ডিম, টম্যাটো ছোড়া হয়। চেষ্টা হয় ১৪৪ ধারার ভাঙারও। দু’টি গাড়ি ভাঙচুর হয়। জখম হন এক হোমগার্ড।
গোটা ঘটনার জেরে মোট ৩৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩০ জন মহিলা। ছাত্র নেতাদের অভিযোগ, বিধানসভায় স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার কথা জানানো সত্ত্বেও পুলিশের ব্যবহার ছিল ‘ন্যক্কারজনক’। শেষ পর্যন্ত চারটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা শুক্রবার বিকালে
বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। স্মারকলিপি দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বামেদের তরফে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে ‘অবহিত’ করতে তিনি কলকাতায় থাকাকালীন আগামী ২২ অগস্ট রাজভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। |
 |
| উর্দিতে পচা ডিম। নিজস্ব চিত্র |
বামপন্থী চার ছাত্র সংগঠন এসএফআই, এআইএসএফ, ছাত্র ব্লক এবং পিএসইউ-এর বিধানসভা অভিযান ছিল এ দিন। পুলিশের বক্তব্য, কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এসে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি ছিল ওই ছাত্র সংগঠনগুলির। দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ মিছিলকারীদের মধ্যে থেকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে পচা ডিম, টম্যাটো ছোড়া হয়। ১৪৪ ধারা ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে শুরু করে।
পরে ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নদীপ মিত্র, কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্যদীপ রায়েরা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যবাবুকে গোটা ঘটনা জানান। সূর্যবাবুর হস্তক্ষেপেই পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা হয় ছাত্র নেতাদের। পরে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ বলেন, “বিধানসভায় স্মারকলিপি দিতে যাব বলে জানানোর পরেও পুলিশের এ দিনের আচরণ ন্যক্কারজনক। রাজ্যের ৭০টি কলেজের ছাত্র সংসদ জোর করে দখল করা হয়েছে। আমাদের সমর্থকেরা পরীক্ষা দিতে পারছে না, প্রশাসনের কাছে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিষদীয় মন্ত্রীর কাছে এ দিন বক্তব্য জানানোর পরে কী পরিণতি হবে, জানি না!” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, “ছাত্র সমাজকে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত করল ওরা। চাইলে তো শান্তিপূর্ণ ভাবে এক দল প্রতিনিধি পাঠিয়েই স্মারকলিপি দিতে পারত। ছাত্র সমাজ এবং অভিভাবকদের এই চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।” |
|
|
 |
|
|
