|
|
|
|
সেনসেক্স পড়ল আরও ৩২৮ পয়েন্ট |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
দুনিয়া জুড়ে শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত। শুক্রবারও ফের যার প্রভাব পড়ল ভারতের বাজারে। প্রায় ৩২৮ পয়েন্ট খোয়ালো সেনসেক্স। এবং লগ্নির নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে আরও চড়ল সোনার দাম। পৌঁছল নতুন উচ্চতায়।
এক একটা দিন এগোচ্ছে, আর তীব্রতর হচ্ছে মন্দার আশঙ্কা। এই মুহূর্তে ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকে আর্থিক পরিস্থিতি দ্রুত শোধরানোর সম্ভাবনা সে ভাবে দেখছে না বিশ্ব। যার জেরে এশিয়ার প্রায় সমস্ত শেয়ার বাজার পড়েছে শুক্রবারও। ভারত যার মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার ৩৭১ পয়েন্ট পড়ার পর এ দিন ফের ৩২৮ পয়েন্ট পড়ে সূচক সেনসেক্স। এক সময় প্রায় ১৫ মাস পর তা নেমে গিয়েছিল ১৬ হাজারেরও নীচে। সামান্য উঠে থামে ১৬,১৪১.৬৭ অঙ্কে। নিফটিও ৯৮.৫০ পয়েন্ট পড়ে থিতু হয় ৪,৮৪৫.৬৫ অঙ্কে। খোলার পরেই পড়তে শুরু করে মার্কিন শেয়ার বাজারও।
স্বভাবতই এ দিনও নিরাপদ লগ্নির গন্তব্য হিসেবে লগ্নিকারীদের সব আস্থা কেড়ে বিশ্বে আবার রেকর্ড ছুঁয়েছে সোনার দাম। নিউ ইয়র্কে আউন্স পিছু তা দাঁড়ায় ১,৮২২.৬০ ডলার। দাম বেড়েছে ভারতেও। কলকাতায় শুক্রবার ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম ছিল ২৮,২৩৫ টাকা। ২২ ক্যারাটের ১০ গ্রাম সোনা ছিল ২৬,৭৯০ টাকা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ইউরোপ ও মার্কিন অর্থনীতি ফের মন্দার কবলে পড়তে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক মর্গান স্ট্যানলি। পাশাপাশি হাতে আসে আমেরিকায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি বা জাতীয় আয়ের বৃদ্ধির হার কমার সম্ভাবনার মতো পরিসংখ্যানও। অন্য দিকে, শুক্রবার সোনা কেনার তাগিদে ইউরোপের বেশ কিছু ব্যাঙ্কে স্বল্পকালীন সময়ে নগদ অর্থের অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। যা সে দেশের ব্যাঙ্কিং সমস্যাকে আরও শোচনীয় করে তোলে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এ সবের প্রভাবে বাজার খোলার পরই নামতে থাকে সেনসেক্স। বিদেশে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির আউটসোর্সিং-এর ব্যবসা মার খেতে পারে, এই সম্ভাবনায় এ দিন সব থেকে বেশি পড়েছে সেগুলির দর। যার মধ্যে শীর্ষে ছিল টিসিএস, ইনফোসিস ও উইপ্রোর মতো প্রথম সারির সংস্থা। পাশাপাশি সূচকের পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে দেশের অন্দরে মূল্যবৃদ্ধি ও তার জেরে সুদ বৃদ্ধির চাপ। উঁচু সুদের জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়া ও দেশীয় সংস্থাগুলির মুনাফায় টান পড়ার সম্ভাবনাও বাজারকে ত্রস্ত করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেয়ারের দাম পড়ার ফলে মাত্র দু’দিনেই লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাও এবং প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রণববাবুর দাবি, “ভারতের বাজার পড়ছে মূলত মার্কিন বাজারের পতনের জেরে। তবে ভারতের আর্থিক স্থিতি এমনই, যে তা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি দক্ষতার সঙ্গে সমস্যা যুঝতে পারবে।” |
|
|
|
|
|