টুকরো খবর

ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রফতানি ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কায় শিল্প
ফের মন্দার আশঙ্কায় ‘ডিইপিবি’ প্রকল্প (ডিউটি এনটাইটেলমেন্ট পাসবুক স্কিম) বা রফতানি ক্ষেত্রে কাঁচামালের আমদানি শুল্কের উপর ভর্তুকি চালু রাখার দাবি জানাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমহল। বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে তারা আরও বেশি সরকারি সহায়তারও দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি এসঅ্যান্ডপি আমেরিকার ঋণ পাওয়ার যোগ্যতার ‘রেটিং’ কমানোর পর রফতানি ব্যবসায় তার প্রভাব কতটা পড়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখতে সদস্য সংস্থাগুলির মধ্যে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল (ই ই পি সি)। প্রসঙ্গত, ইইপিসি জানিয়েছে, ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাগুলি ২০১০-’১১ সালে ৬,০০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল ইউরোপ। ১২-১৩ শতাংশের আমেরিকা। এর আগে ২০০৮-এর বিশ্বব্যাপী মন্দার ধাক্কায় বেসামাল হয়েছিল দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প। ইইপিসি-র হিসেবে, ২০০৮-এ তুলনায় ২০০৯-এ ওই পণ্যের রফতানি কমেছিল ২০%। যদিও গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু নতুন করে ইউরোপ ও আমেরিকায় মন্দার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন তারা। নিশ্চিন্তে নেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৯০০ ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। ২০০৮-এ মন্দার জের পড়েছিল রাজ্যেও। রফতানি ব্যবসা সঙ্কুচিত হওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ হয় বহু সংস্থারই। কাজ হারান প্রায় ২০% কর্মী। ইইপিসি-র ডিরেক্টর সুরঞ্জন গুপ্ত বলেন, ‘‘আমেরিকার সমস্যা সাময়িক, না কি ফের মন্দা ঘনাতে পারে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটা দীর্ঘমেয়াদি হলে ভয় রয়েছে। আমরা বিষয়টির উপরে নজর রাখছি।”

হুইলার স্টল ফিরছে রেলে
‘হুইলার’ স্টল আবার ফিরে আসছে রেল স্টেশনে। ভারতীয় রেলে হুইলারের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। রেলমন্ত্রী হিসাবে লালু প্রসাদ সিদ্ধান্ত নেন, বিভিন্ন প্রধান স্টেশনে প্রায় ২৫০টি বইয়ের দোকান চালানোর ভার হুইলার সংস্থার হাত থেকে সরিয়ে নিয়ে নিলাম করা হবে। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মন্ত্রকের অসহযোগিতায় বহু স্টেশন থেকে উঠে যায় হুইলারের স্টল। সম্প্রতি বিভিন্ন মহল রেলমন্ত্রীর কাছে হুইলারকে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানায়। আজ তাই হুইলারের অধিকর্তা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান রেলমন্ত্রী। সংসদে নিজের ঘরে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠকের পরে দীনেশ জানান, “হুইলারের হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী হবে রেল মন্ত্রক।” হুইলারের পক্ষ থেকে অমিতবাবু জানান, “হুইলারকে সময়োপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে হুইলারের ওয়েবসাইট খোলা হবে। যাত্রীরা চাইলে সে’টির মাধ্যমে আমাদের কোন স্টেশনের কোন দোকানে কী বই রয়েছে তা জানতে পারবেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাত্রীরা হুইলারের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বই কিনতেও পারবেন।” দীনেশ প্রস্তাব দেন, যাত্রীরা যাত্রার শুরুতে কোনও স্টলে বই কিনে অন্তিম স্টেশনে তা যাতে ফেরত দিতে পারেন, হুইলার সেই সুবিধা রাখুক। বিনিময়ে সামান্য মূল্য কেটে নিক হুইলার। হুইলার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

শীঘ্রই আসছে জাতীয় উৎপাদন নীতি
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হতে চলেছে জাতীয় উৎপাদন নীতি। আজ সিআইআই-এর “এক্সপোর্ট সামিট-২০১১”-এ এই কথা জানালেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। বেশ কিছু দিন ধরেই জাতীয় উৎপাদন নীতি আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। গতকাল এই সংক্রান্ত নোটটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক। ২০২৫-এর মধ্যে জাতীয় আয়ে উৎপাদন শিল্পের অবদান যাতে এখনকার ১৫-১৬% থেকে বেড়ে ২৫% হয়, সেই লক্ষ্যেই এই নীতি আনা হচ্ছে, জানান মন্ত্রী। তাঁর দাবি, “আগামী দিনে প্রায় ১০ কোটি চাকরি তৈরি হবে এই ক্ষেত্রে।” তবে এই নীতি আনলেও আমেরিকা ও ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রকের কর্তারা। কেননা বিশ্বয়ানের যুগে এক দেশে আর্থিক মন্দা দেখা দিলে অন্য দেশে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। আনন্দ শর্মা বলেন, “আর সমস্যাটি যদি আমেরিকার হয় তা হলে গোটা পৃথিবীতে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।” একই সুরে সিআইআই-এর কর্তা সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, “মন্দার ফলে বহু সংস্থার সমস্যা হচ্ছে। ভারতের রফতানির একটি বড় বাজার আমেরিকা, ব্রিটেন। সেখানে মন্দা হলে বরাত কমে যায়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.