বধূহত্যার অভিযোগে স্বামী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পিয়ারি বিবি (২০)। তাঁর বাপের বাড়ি কাটোয়া থানার নতুনগ্রামে। সাত মাস আগে মঙ্গলকোটের পিন্ডিরা গ্রামের জাহিদ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সপ্তাহখানেক আগে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই বধূকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা ইয়ানুস খান কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, বিয়ের তিন মাস পর থেকে পণের দাবিতে মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। গত সপ্তাহে জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিয়ারির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পড়শিরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইয়ানুস খান পুলিশের কাছে মৃতার স্বামী, দেওর, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, মৃতার স্বামী জাহিদ ও দেওর হাসিবুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
|
বেসরকারি একটি হাসপাতালের ল্যান্ডলাইনে ফোন করে কর্মীদের অশ্লীল কথা বলার অভিযাগে বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (২২)। অভিযোগ, বর্ধমানের ওই বাসিন্দা জুন মাসে টানা পাঁচ দিন দুপুরবেলা ওই হাসপাতালে ফোন করেন। পুরুষকণ্ঠ কল ধরলে কিছু না বলে ফোন রেখে দেওয়া হত। কিন্তু মহিলাকর্মীরা ধরলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক অশ্লীল কথা বলত বলে অভিযোগ। ২৯ জুন ওই পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তদন্তে জানা যায়, নিজের মোবাইলে অন্যের সিম ভরে ফোনগুলি করেছিল অভিষেক।
|
বাস থেকে পড়ে জখম এক ব্যক্তির মৃত্যু হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে বাস থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান ভাতারের এরাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় রিকশাচালক রতন দাস (৩৫)। বর্ধমান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে বাসের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পারুই ও কলিগ্রামের মাঝে একটি বাঁকের কাছে পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |